ঢাকা: সিরিয়া সংলগ্ন সীমান্তে এক কোটিরও বেশি কৃত্রিম উদ্দীপক পিল ‘ক্যাপটাগন’ উদ্ধার করেছে তুর্কি কর্তৃপক্ষ। সিরিয়া যুদ্ধে এ পিল আইএসের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন।
তুরস্কের হাতায়া অঞ্চল থেকে পৃথক দু’টি অভিযানে তুর্কি মাদকবিরোধী পুলিশ এক কোটি নব্বই লাখ ক্যাপটাগন পিল উদ্ধার করে বলে শুক্রবার (২০ নভেম্বর) তুর্কি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়। পিলগুলোর মোট ওজন দুই টন।
ক্যাপটাগন’র রাসায়নিক নাম, অ্যাম্ফিটামিন ফেনেথাইলিন। মধ্যপ্রাচ্যে এই মাদক খুবই জনপ্রিয়।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি সংবাদপত্র তাদের এক প্রতিবেদনে ‘ক্যাপটাগন’ সম্পর্কে বলেছে, এই মাদক বিদ্রোহী যোদ্ধাদের অতিমানব সেনায় রূপান্তরিত করে সিরিয়া যুদ্ধে জ্বালানি যোগাচ্ছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি সংবাদমাধ্যমও এর ব্যাপারে একই মন্তব্য করেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) কর্মীরা লড়াইয়ে নামার আগে এই পিল সেবন করে থাকে। এটি একজন মানুষকে ‘হাল্ক’য়ে রূপান্তরিত না করলেও বা অতিমানবীয় কিছু করার ক্ষমতা না দিলেও তার মানসিক অবস্থা এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে যায়, যার ফলে সে বিপজ্জনক যেকোনো কিছু ঘটিয়ে ফেলতে পারে।
বিংশ শতাব্দিতে আশির দশকে ক্যাপটাগন বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন ও বাজারজাত করা হতো। কিন্তু অতিমাত্রায় আসক্তি সৃষ্টির কারণে পরবর্তী সময়ে এটি নিষিদ্ধ করা হয়।
শুধু ক্যাপটাগনই নয়, অ্যাম্ফিটামিন গ্রুপের সব পিলই আসক্তির সৃষ্টি করে। এবং এর সবগুলোই সিরিয়া যুদ্ধে ব্যবহার হচ্ছে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। গত কয়েক বছর ধরে এগুলোর পাচার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গেছে। শুধুমাত্র লেবাননে গত এক মাসে দুইশ মিলিয়ন ডলারের (দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি) ক্যাপটাগন পিল জব্দ করেছে কর্তৃপক্ষ।
মাদক বিশেষজ্ঞদের মতে, দরিদ্র ও সংঘাতপ্রবণ দেশগুলোয় মাদকের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। এসব অঞ্চলের মানুষ আনন্দ লাভ ও সমস্যা থেকে সাময়িক উত্তরণের পথ হিসেবে মাদককে বেছে নেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৫
আরএইচ