ঢাকা: রেকর্ড পরিমাণ ঘাটতি রেখেই সৌদি আরবে ঘোষণা করা হয়েছে নতুন বছরের বাজেট। জ্বালানি ও ইউটিলিটিখাতে ভর্তুকি কমানো হয়েছে এতে।
স্থানীয় সময় সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সৌদি আরবে ২২৪ বিলিয়ন ডলারের (১৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা) বাজেট ঘোষণা করা হয়। এতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩৭ বিলিয়ন ডলার (১০ লাখ ৭৬ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা)। আর বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে ৮৪ বিলিয়ন ডলার (৬ লাখ ৮২ হাজার ৬৫৪ কোটি টাকা)। এবার তেল বিক্রি থেকে ৭৩ শতাংশ আয় নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর এটাই বাদশাহ সালমানের শাসনামলের প্রথম এই বাজেট ঘোষণা। তেলের দরপতনের কারণে ২০১৫ সালে সৌদি আরবের অর্থনীতিতে ৯৮ বিলিয়ন ডলারের (৭ লাখ ৬৯ হাজার ৭৩০ কোটি টাকা) ঘাটতি দেখা দেয়। এ ঘাটতি পুষিয়ে নিতে জাতীয় পর্যায়ে পেট্রলসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম ৫০ শতাংশেরও বেশি বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে সৌদি আরবে পেট্রলের দাম ছিল শূন্য দশমিক ৬ রিয়াল বা ১২ টাকা ৬০ পয়সা। বাজেট ঘোষণার পর এর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে শূন্য দশমিক ৯ রিয়াল বা ১৮ টাকা ৯০ পয়সা। নিম্নমানের পেট্রলের দাম শূন্য দশমিক ৪৫ রিয়াল থেকে বাড়িয়ে শূন্য দশমিক ৭৫ রিয়াল করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) থেকে নতুন এ মূল্য কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।
এক বিবৃতিতে সৌদি অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০১৫ সালে জাতীয় আয় হয়েছে ১৬২ বিলিয়ন ডলার (১২ লাখ ৭২ হাজার ৪১১ কোটি টাকা), যা ২০০৯ সালের পর সবচেয়ে কম। আর ২০১৪ সালের তুলনায় এ আয় ৪২ শতাংশ কম।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ২০১৫ সালে জাতীয় আয়ের ৭৩ শতাংশ এসেছে হয়েছে তেল বিক্রির মাধ্যমে। তবে তেল ছাড়া অন্যান্য পণ্য থেকে আয় বেড়েছে এ বছর। এসব পণ্য থেকে আয় হয়েছে ২৯ শতাংশ, যার অর্থমূল্য ৪৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার (৩ লাখ ৪২ হাজার ৪৫১ কোটি টাকা)।
প্রসঙ্গত, এর আগে বিশ্বের শীর্ষ তেল উৎপাদনকারী ও রফতানিকারক দেশ সৌদি আরবের জাতীয় আয়ের ৯০ শতাংশই আসতো তেল বিক্রির মাধ্যমে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৫
আরএইচ