ঢাকা: স্থলের বাসিন্দারা জলে ডুবলে মৃত্যু হয়। স্বেচ্ছায় কেউ জলে ডুবে নিজের প্রাণ নিলে তাকে আত্মহত্যা বলে।
কিন্তু ভারতের তামিলনাড়ুর তিরুচেন্দুর বিচে যা ঘটলো, তাকে কি বলা উচিত? তিমিগুলো কি তাহলে আত্মহত্যা করতে তীরে উঠে এসেছে?
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে, সোমবার (১১ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা থেকে স্থলে উঠে আসতে শুরু করে তিমিগুলো। একে একে উঠে আসে একশরও বেশি তিমি। তিরুচেন্দুর বিচের আলান্থালাই থেকে কাল্লামোঝি পর্যন্ত প্রায় ১৬ কিলোমটার এলাকাজুড়ে তাদের ছড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সেই যে উঠে আসা, তারপর আর ফিরে যায়নি তিমিগুলো। এরই মধ্যে ৪৫টির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আর ৩৬টিকে এ পর্যন্ত উদ্ধার করতে পেরেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
কেন তিমিগুলো এভাবে পানি ছেড়ে সাগরতীরে উঠে এলো আর কেনইবা তারা নিশ্চিত মৃত্যুর পথ বেছে নিল, সে বিষয়ে এখনও অন্ধকারে কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় মাঝি ও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বেশ কয়েকটি তিমিকে সাগরে ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন তারা।
এর আগে ১৯৭৩ সালে একবার তিরুচেন্দুর বিচে ১৪৭টি তিমি সাগর ছেড়ে উঠে আসে। সেবার সবগুলো তিমিরই মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৬
আরএইচ