ঢাকা, রবিবার, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৮ জুলাই ২০২৪, ২১ মহররম ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

নো... বললেন মিশেল ও

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১০ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৬
নো... বললেন মিশেল ও

হিলারির পথে হাঁটবেন না মিশেল ওবামা। তার একেবারেই নেই সামনে প্রেসিডেন্ট লড়াইয়ে সামিল হওয়ারও ইচ্ছা।

ওয়াশিংটনে যে রাজনৈতিক মেরুকরণ চলে তাতে তার বিশ্বাস নেই। ববং এর বাইরে থেকে রাজনীতিতে অনেক কিছু করার রয়েছে বলেই মনে করেন মিশেল ওবামা।

সুতরাং এক সময়ের ফার্স্টলেডি হিলারি ক্লিনটন এখন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হলেও এখনকার ফার্স্টলেডি একসময় এমনই প্রার্থী হবেন কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মিশেল ও বললেন, নো।

টেক্সাসের অস্টিনে একটি উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন মিশেল। সেখানে তিনি ব্যস্ত ছিলেন জাতিসংঘের সহায়তায় ৬ কোটি ২০ লাখ শিশুদের উন্নত শিক্ষা সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্য সামনে রেখে আয়োজিত একটি কর্মসূচিতে। তাদের জন্য তৈরি একটি নতুন গানের উন্মোচন হচ্ছিলো সে অনুষ্ঠানে।

এসময় দেওয়া বক্তৃতায় মিশেল ওবামা বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্টের লড়াইয়ে যাচ্ছি না। না.. না.., এমন ঘটবে না কখনোই।

হোয়াইট হাউজের বাইরে থেকেও অনেক কিছু করার রয়েছে। আর কখনো কখনো আপনি আসলে হোয়াই হাউজের বাইরে থেকেই একটু বেশি কাজ করতে পারবেন। সেখানে বাধাটা কম থাকবে। ওখানে লাইট আর ক্যামেরার ঝলকানিটা একটু বেশি।

তখন অনেকের কাছে আমার কথা পৌঁছানো সম্ভব হবে, যারা এখন আমার কথা শোনার সুযোগটাই পাচ্ছেন না, কারণ আমি হোয়াইট হাউজের বাসিন্দা, আমি ফার্স্ট লেডি।

৫২ বছরের এই আফ্রিকান  আমেরিকান একজন হাভার্ড-এডুকেটেড আইনজীবী, তিনি তার রাজনৈতিক জীবনের এই চাকচিক্য থেকে বেরিয়ে আসতে চান, বিতর্কের উর্ধ্বে থাকতে চান। তার কাছে বরং মনে হয়, মেদ আক্রান্ত মানুষগুলো এখন যুক্তরাষ্ট্রের বড় সমস্যা, তাদের জন্য একটা কিছু করা উচিত। হোয়াইট হাউজের আট বছরের অবসান হলে তার দুই মেয়ে মালিয়া ও শাশাও অন্য কোথাও থাকবে এটাই প্রত্যাশা মিশেলের। ওরাও এখানকার জৌলুস দেখেছে, দায়িত্বের সঙ্গে এর মধ্যে থেকেই তৈরি হয়েছে। তবে যথেষ্ট হয়েছে, বলেন মিশেল।

প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও একইভাবে বলেন, তার স্ত্রী মিশেল ওবামার প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়াই করার কোনও ইচ্ছাই নেই। তবে আসছে জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউজ ছাড়ার পরের সময়টা তারা ওয়াশিংটনেই থাকবেন যাতে ছোটমেয়ে শাশার স্কুল পাল্টাতে না হয়।

অপর উচ্চশিক্ষিত ফার্স্টলেডি হিলারি ক্লিনটন অবশ্য গোড়া থেকেই রাজনীতিতে। আর দীর্ঘদিন ধরেই নিউ ইয়র্কের সিনেটর নির্বাচিত হয়ে আসছেন। ২০১৬ সালে ডেমোক্র্যাট দলের মনোনয়ন দৌড়ে তিনিই এগিয়ে। আর নভেম্বরের নির্বাচনে জয়ী হতে পারলে তিনিই হতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কোনও নারী প্রেসিডেন্ট। আর হোয়াইট হাউজের বাসিন্দা। এর আগে প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনের দুই দফায় তিনি সেখানে ছিলেন।

‘দিস ইস ফর মাই গার্লস’ শিরোনামে নতুন তৈরি গানটির উদ্বোধন করছিলেন মিশেন ওবামা। ডিয়ান ওয়ারেনের এই গানে আরও কণ্ঠ দিয়েছেন কেলি ক্ল্যার্কসন, মিসি এলিয়ট ও জ্যানেল মোনা। এই গান আইটিউনে যতবার শোনা হবে তা থেকে পাওয়া অর্থের পুরোটাই মেয়েদের শিক্ষার জন্য একটি পিস করপ কে দান করবে অ্যাপেল।   

মিশেল ওবামা বলেন, বিশ্বের দেশে দেশে মেয়েরা অনেক দূরের পথ পারি দিয়ে, ঝুঁকি নিয়ে তবে স্কুলে যায়, যা তার মর্মস্পর্শ করে।

এই মেয়েদের মাঝে, তাদের আশা-আকাঙ্খা আর দৃঢ়তার মাঝে আমি নিজেকে খুঁজে পাই।

নারীবাদি নিউজলেটার লেনি লেটারে এসব কথা লিখেছেন মিশেল ওবামা।

বাংলাদেশ সময় ০০০৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৬

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।