ঢাকা, সোমবার, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৯ জুলাই ২০২৪, ২২ মহররম ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ফিলিপাইনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৯ ঘণ্টা, মে ৯, ২০১৬
ফিলিপাইনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। সোমবার (০৯ মে) সকাল থেকে শুরু হওয়া এ নির্বাচনে এখন পর্যন্ত কোনো সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি।

তবে নির্বাচন পূর্ববর্তী প্রচারণায় সহিংসতায় ১৫ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে একজন মেয়র প্রার্থী রয়েছেন।

সোমবার (০৯ মে) এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।

নির্বাচনের মধ্য দিয়ে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের জন প্রতিনিধিদের নির্বাচিত করবেন ফিলিপিনোরা।

এবারের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে লড়ছেন মোট পাঁচজন প্রার্থী। তারা হলেন- রডরিগো দুর্দাতে, গ্রেস পো, মার রোকজাস, জেজোমার বিনে ও মিরিয়াম ডেফেন্সর সান্তিয়াগো।

আর টানা ছয় বছর ক্ষমতায় থাকার পর সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে এবার নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট বেনিগনো অ্যাকুইনো।

অর্থনৈতিক অবকাঠামোর অগ্রগতি, অপরাধ ও দুর্নীতি মোকাবিলাসহ দক্ষিণ চীন সাগরের সঙ্গে আঞ্চলিক বিরোধ নিষ্পত্তি বিষয়টি সামনে রেখে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন প্রার্থীরা।

এদিকে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ভোটকেন্দ্রগুলো কড়া নিরাপত্তা আরোপ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে একলাখেরও বেশি পুলিশ সদস্য।

রডরিগো দুর্দাতে

‘দ্য পানিশার’ নামে দেশটির স্থানীয় জনগণ তাকে চেনেন। তিনি দেশটির সাবেক প্রসিকিউটর এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় দাভাও শহরের ২২ বছরেরও বেশি সময় ধরে মেয়র হিসেবে ছিলেন। নির্বাচনী প্রচারণায় সাবেক এ মেয়র বেশ কিছু বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছেন। প্রেসিডেন্ট হলে ছয়মাসের মধ্যে দেশ থেকে মাদকপাচার এবং দুর্নীতি দূর করবেন, নির্বাচনী ইশতেহার তিনি এমনটি বলেছেন।

গ্রেস পো

দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ফারনাদো পোয়ের মেয়ে। বাবার হাত ধরে মূলত রাজনীতিতে আসা। ১৯৯০ সালের দিকে গ্রেস পো আমেরিকার একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। পরবর্তীতে ২০০৪ সালে রাজনীতিতে বাবাকে সাহায্য করার জন্য দেশে ফিরি আসেন। এরপর বাবার মৃত্যুর পর বাবার স্থানে অভিষিক্ত হন গ্রেস পো।

মার রোকজাস

মার রোকজাসের দাদা ফিলিপাইন রিপাবলিকের প্রথম প্রেসিডেন্ট ছিলেন। সেই অর্থে  রোকজাসের রাজনীতিতে আসাটা অনেকটা রাজকীয়ভাবে। অতীতে তিনি একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি দেশটির অভ্যন্তরীণ সচিব হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০১৩ সালে ফিলিপাইনে আঘাত হানা শক্তিশালী টাইফুন ‘হাইয়ান’র সময় বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য সমালোচিত হন।

জেজোমার বিনে

মাত্র নয় বছর বয়সে মানবাধিকার আইনজীবী হন। ফার ফারদিনান্দ মারকোসের ক্ষমতায় থাকাকালে এক রাজনৈতিক কর্মীকে রক্ষার জন্য জেলে যান তিনি। পরবর্তীতে ম্যানিলার মেয়র হিসেবে ২০ বছর দায়িত্ব পালন করেন। ২০১০ সালে তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলেও বিষয়টি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবি জেজোমোর।

মিরিয়াম ডেফেন্সর সান্তিয়াগো 

মিরিয়াম ডেফেন্সর সান্তিয়াগো, সাবেক বিচারক হিসেবে পরিচিত। ২০১২ সালে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিমিনাল কোর্টের বিচারক হিসেবে দ্বায়িত্ব পান। কিন্তু সে সময়ে তার ফুসফুসের ক্যান্সার ধরা পড়লে ওই দ্বায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান। এছাড়া তিনি সাবেক প্রসিডেন্ট কোরাযন একুইনোর সময়ে ইমিগ্রেশন কমিশনার হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি সিনেটর হিসেবে দ্বায়িত্বরত রয়েছেন।

তবে পাঁচ জনের মধ্যে ফিলিপিনোরা পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে রডরিগো দুর্দাতেকে বেছে নিতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৬
আরএইচএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।