ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

দুইবার ফেল করে থার্ড ডিভিশনে বিএ পাস মোদি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২১ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৬
দুইবার ফেল করে থার্ড ডিভিশনে বিএ পাস মোদি ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দাবির মুখে এবার ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিএ ও এমএ ডিগ্রির ফলাফল জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়েছে। সনদে দেখা যায়, দুইবার ফেল করে তৃতীয় বার পরীক্ষা দিয়ে ‘থার্ড ডিভিশনে’ পাস করেছেন নরেন্দ্র মোদি।

ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) অমিত শাহ ও অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি সোমবার (০৯ মে) মোদির এই দু’পরীক্ষার সনদ প্রকাশ করেন। তবে নাছোড়বান্দা কেজরিওয়াল এখনও দাবি করছেন, মোদির এই ডিগ্রিও ভুয়া।

মঙ্গলবার (১০ মে) স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, গত কয়েকদিন ধরেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরিবিন্দ কেজরিওয়াল ধারাবাহিকভাবে বলে আসছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি আসলে দ্বাদশ শ্রেণি পাস করেছেন। নির্বাচনী হলফনামায় বিএ ও এমএ পাস উল্লেখ করলেও মোদির দাবির কোনো ভিত্তি নেই।

কারণ হিসেবে কেজরিওয়াল বলেন, তথ্য জানার অধিকার সবার রয়েছে। কিন্তু  কোথাও মোদির ডিগ্রির বিষয়ে কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। চাপের মুখে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় তাড়াহুড়ো করে প্রধানমন্ত্রী মোদির এমএ ডিগ্রির সার্টিফিকেট করে দেয়।

প্রধানমন্ত্রী প্রথম ডিভিশনে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর (বিএ) পাস করেছেন বলে ওই সার্টিফিকেটে উল্লেখ রয়েছে। এরপরও কেজরিওয়াল বলেন, এমএ পাস করলেও বিএ করেননি তিনি (নরেন্দ্র মোদি)।

নানা ‘বাতচিতে’র পর অবশেষে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সরকার ও দলের শীর্ষ নেতা অরুণ জেটলি এবং অমিত শাহ ডিগ্রি দু’টির প্রমাণপত্র প্রকাশ করেন। সঙ্গে তুলে ধরা হয় সবিস্তার নম্বরপত্রও।

নম্বরপত্র অনুসারে, ১৯৭৫ সালে ইংরেজি, হিন্দি, ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পার্ট-১ পরীক্ষায় একবারে উত্তীর্ণ হন মোদি। পরের বছর পার্ট-২ এ একমাত্র রাষ্ট্রবিজ্ঞান ছাড়া বাকি তিনটি বিষয়েই ফেল করেন।

তার পরের বছর অর্থাৎ ১৯৭৭ সালে পার্ট-৩ এর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও পার্ট-২ এ ইতিহাস বিষয়ে ফের ফেল করে বসেন তিনি। এরপর ১৯৭৮ সালে ইতিহাসে ফের পরীক্ষা দিয়ে ফেল উৎড়ান মোদি। সব মিলিয়ে তৃতীয় বিভাগ অর্থাৎ থার্ড ডিভিশনে পাস করেন তিনি।

এদিকে সবিস্তারে সনদ প্রকাশ করলেও সন্তুষ্ট নন দিল্লির অরিবিন্দ কেজরিওয়াল ও তার দল আম আদমি পার্টি। তারা অভিযোগ করছেন, নম্বরপত্রে এক এক বছরে এক একটি নাম রয়েছে। কোথাও নরেন্দ্র কুমার দামোদর দাস মোদি, লেখা আছে নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদি।

১৯৭৭ সালের দু’টি নম্বরপত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলে দলটির নেতা মি. আশুতোষ বলেন, এই ডিগ্রিও ভুয়া।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫১ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৬
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।