ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

‘প্রজাপতির মতো উড়ি, মৌমাছির মতো দংশন করি’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২২ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০১৬
‘প্রজাপতির মতো উড়ি, মৌমাছির মতো দংশন করি’ ছবি: সংগ‍ৃহীত

ঢাকা: শান্তি আর সংগ্রামের বিমূর্ত প্রতীক কিংবদন্তি মুষ্টিযোদ্ধা মুহাম্মদ আলী। জীবনে পাহাড় সম অর্জন থাকা সত্ত্বেও থেকেছেন বিনয়ী।

মুষ্টিযুদ্ধ করা তার নেশা-পেশা হলেও যুদ্ধ নয়, শান্তির পক্ষেই ছিলেন আজীবন সংগ্রামী।

কৃষ্ণাঙ্গদের সমধিকারের দাবিতে ১৯৬৭ সালে আন্দোলন করেছেন। মানুষের স্বাধীনতা, ন্যায় বিচার আর সাম্যের লড়াইয়ে থেকেছেন সবার আগে। একই বছর ভিয়েতনাম যুদ্ধে যাওয়ার ডাক প্রত্যাখ্যানের দায়ে তাকে পাঁচ বছরের সাজা ভোগ করতে হয়েছে। কড়ে নেওয়া হয়েছে বিশ্ব হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়নের খেতাব।

লড়াকু একজন মানুষ হলেও তিনি রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে বিশ্বাসী ছিলেন না। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তার অবস্থান ছিলো বলিষ্ঠ। মুষ্টিযুদ্ধে অনন্য হওয়ায় বিশ্বেজুড়ে রয়েছে তার খ্যাতি।

খেলার ময়দানে তিনি প্রতিপক্ষের সামনে আবির্ভূত হয়েছেন ভয়ংকর রূপে। আর বাস্তব জীবনে ছিলেন উদার ব্যক্তিত্ব। তবে অভিমান, জেদ, ক্ষ্যাপাটে ভাবই তাকে আজকের মুহাম্মদ আলী বানিয়েছে।

প্রতিপক্ষকে কাবু করতে নিজের শক্তি আর সামর্থ্যের জানান দিতে প্রায়ই তিনি বলতেন, ‘প্রজাপতির মতো উড়ি আমি, মৌমাছির মতো দংশন করি’ (Float like a butterfly sting like a bee)। এই কথাটি বিশ্ব জুড়ে মানুষের মুখে-মুখে ফিরে।

‘আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন লড়াই ছিল, আমারই প্রথম জীবনের সঙ্গে। ’ হতাশাগ্রস্ত মানুষের জীবনে মুহাম্মদ আলীর এই উক্তি আজও অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে।

স্রষ্টাকে দায়ী করা নয়, বরং ভাগ্য বদলের জন্য নিজের সঙ্গে নিজেকে যুদ্ধ করতে শিখিয়েছেন মুহাম্মদ। যা মানুষকে বেঁচে থাকার রসদ জোগায়।

শতাব্দীর সেরা ক্রীড়াবিদ বক্সার ‘দ্য গ্রেটেস্ট’ মুহাম্মদ আলী শনিবার (০৪ জুন) বাংলাদেশ সময় সকালে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে গেছেন। শোক সাগরে ভাসিয়েছেন কোটি-কোটি মন।

বাংলাদেশ সময়: ১১২২ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৬
টিআই

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।