ওয়াশিংটন: ২০১১ সালের শেষে বিশ্বের জনসংখ্যা দাঁড়াবে ৭শ কোটি। ২০৫০ সালে হবে ৯শ কোটি আর ২১০০ সালে এই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে এক হাজার কোটিতে।
সায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত অধ্যাপক ডেভিড ব্লুমের একটি পর্যালোচনামূলক নিবন্ধের সূত্র ধরে হাভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথ এই তথ্য জানিয়েছে।
তবে ভৌগোলিক অবস্থানের ভিত্তিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে ব্যাপক বৈষম্য দেখা যাবে। যেমন, জাপান ও জার্মানির মতো কয়েকটি উন্নত দেশে জনসংখ্যা স্থিতিশীল থাকবে এমনকি কমেও যেতে পারে।
ফলে আগামী দশকগুলোতে এসব দেশে জনসংখ্যার সংকট তৈরি হবে। এই উন্নত দেশগুলোর সমাজ ব্যবস্থার কারণে এরা যথেষ্ট কর্মক্ষম মানুষ উৎপাদনে অক্ষম হবে ফলে বৃদ্ধ লোকের সংখ্যা বেড়ে যাবে।
এ অবস্থা অপরিবর্তিত থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বে জনসংখ্যা বৃদ্ধির যে প্রক্ষেপণ করা হয়েছে তাতে মাত্র ৩ শতাংশ ভূমিকা থাকবে উন্নত দেশগুলোর।
অপরদিকে, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জনবিস্ফোরণ ঘটবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০৫০ সাল নাগাদ শুধু আফ্রিকাতেই জনসংখ্যা বাড়বে একশ ১০ কোটি যা এই সময়ে প্রক্ষেপিত বিশ্ব জনসংখ্যা বৃদ্ধির ৪৯ ভাগ।
অধ্যাপক ব্লুম বলেন, এই ভয়াবহ জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে উন্নয়নশীল দেশে খাদ্য, পানীয়, আবাসন এবং জ্বালানি সরবরাহ বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দেবে।
তবে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে পৃথিবীর সম্পদ যথেষ্ট হবে না এমন ধারণা প্রচলিত থাকলেও তার ব্যত্যয় ঘটবে।
কৃষি বিজ্ঞানীরা সবাই মোটামুটি একমত, বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর খাদ্য সরবরাহ করতে প্রয়োজনীয় জমির চেয়েও অনেক বেশি চাষযোগ্য জমি পৃথিবীতে রয়েছে। তথাপি উন্নয়লশীল দেশগুলোতে যে অনাহার এবং অতিরিক্ত জনবসতি সমস্যা রয়েছে প্রকৃতপক্ষে এর মূল কারণ হলো প্রযুক্তিগত পশ্চাদপদতা, সম্পদের অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি এবং আরও কিছু কারণ।
আসন্ন এই ভয়াবহ জনসংখ্যা সমস্যা মোকবেলার জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছেন ব্লুম। এর মধ্যে প্রত্যন্ত অঞ্চলে নারীদের মধ্যে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী পৌঁছানো, শিশুমৃত্যুর হার কমানোর লক্ষ্যে সচেতনতা মূলক কর্মসূচি, চাকরির অবসর নীতির সংস্কার এবং বিশ্ব অভিবাসন নীতি আরও উন্নত করা।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, জুলাই ৩০,২০১১