ফ্লোরিডা: প্যাকেটের গায়ে লেখা একশ ভাগ খাঁটি কমলার জুস। ওই জুসের বিজ্ঞাপনেও ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে এর শুদ্ধতা প্রশ্নাতীত।
যে জুসটি বাজারে পাওয়া যায় তার প্রস্তুত প্রণালী থেকে জানা যায়, কমলার রস বের করার পর তরলটি থেকে অক্সিজেন অপসারণ করা হয়। এর পর এই গন্ধহীন তরলে নতুন করে কৃত্রিম কমলার গন্ধ যুক্ত করা হয়।
প্রথমে কমলা থেকে রস চিপে বের করে বিশাল চৌবাচ্চায় নেওয়া হয়। এখানেই রস থেকে অক্সিজেন অপসারণের কাজটি সারা হয়। রস থেকে অক্সিজেন সরিয়ে নিলে তা বহুদিন সংরক্ষণ করা যায়। তবে সমস্যা হচ্ছে একই সঙ্গে কমলার স্বাদ ও গন্ধও নষ্ট হয়ে যায়। ফলে জুস প্যাকেট করার আগে কৃত্রিম ঘ্রাণ ও স্বাদ যুক্ত করতে হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের ট্রপিকানা, সিম্পলি অরেঞ্জ, মিনিট মেইড, ফ্লোরিডা ন্যাচারালের মতো জুস উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো একই কায়দায় আকর্ষণীয় জুস প্রস্তুত করে বাজারে ছাড়ে। এই কোম্পানিগুলোয় উৎপাদিত জুসে প্রত্যেকের আছে আলাদা স্বাদ ও গন্ধ।
কমলার জুস নিয়ে ২০০৯ সালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানা যায়, স্বাদ ও গন্ধ যুক্ত করার ক্ষেত্রে একেক কোম্পানি একেক ধরনের ফরমুলা ব্যবহার করে। এমনকি বাজারে প্রচলিত অন্য খাদ্যপণ্যের যে ঘ্রাণ মানুষ পছন্দ করে সেই ঘ্রাণও তারা জুসে ব্যবহার করে থাকে।
আর কৌশলগত কারণে কোনো কোম্পানিই তাদের ঘ্রাণের (সুবাস) প্যাকেটে উপাদানের তালিকা দেয় না। শুধু ‘কমলার নির্যাস ও তেল’ থেকে প্রস্তুত এই বাক্যটি লেখা থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১১