বাগদাদ: ইরাকের বেশ কয়েকটি শহরে পৃথক বোমা হামলার ঘটনায় ৬০ জন নিরাপত্তারক্ষী ও বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। সোমবারের এ হামলাটি চলতি বছরের সবচেয়ে ভয়াবহ বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সবচেয়ে বেশি লোক নিহত হয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কুতে। সেখানে পরপর দুটি বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ৩৭ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া দিয়ালা প্রদেশে নিহত হয়েছে ১০ জন।
দুই সপ্তাহ আগে ইরাকি সরকার জানায়, ২০১২ সালে ইরাকে কিছু মার্কিন সেনা মোতায়েন করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করবে। চলতি শেষ নাগাদ পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ইরাক থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের কথা রয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, গাড়িবোমা, রাস্তার পাশে পুঁতে রাখা বোমা ও আত্মঘাতী বোমা হামলাগুলো সোমবার সকালেই হামলা চালানো হয়। তবে এখনো হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি।
ইরাকি পার্লামেন্টের স্পিকার ওসামা আল-নুজাইফি হামলার তীব্র নিন্দা জানান।
দিয়ালা প্রদেশের পৃথক কয়েকটি সাতটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে, ইরাকি ও মার্কিনবা বাহিনীর কঠোর হামলার পরেও জঙ্গিরা হামলার চালানোর সামর্থ্য রাখে।
ইরাকের সাধারণ মানুষ নিরাপত্তারক্ষী ও প্রধানমন্ত্রী নূরী আল-মালিকির ওপর ভীষণ ক্ষিপ্ত। মাঝেমাঝেই সরকার বিরোধী মিছিল দেখা যায় ইরাকের রাস্তায়। কুতের একজন দোকান মালিক আলি জুমা জিয়াদ বলেন, ‘সারা দেশে এসব বিস্ফোরণের ঘটনায় সরকার কোথায় গেছে? আল-মালিকি কোথায় গেছে? তিনি এখানে আসেন না?’ জিয়াদকে তার দোকান থেকে মৃতদেহের শতচ্ছিন্ন টুকরো সরিয়ে ফেলতে দেখা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১১