ঢাকা: ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা তাকে টুইটার থেকে ডিলেট করে দিয়েছেন! পোপ ফ্রান্সিস তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকেই সমর্থন দিয়েছেন! হতাশ হয়ে তার প্রচারণার কর্মীরা ক্যাম্পেইন শিবির ছেড়ে গেছেন! দলের প্রার্থীর পরাজয় বুঝতে পেরে কানাডায় পাড়ি দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা!
ফেসবুক-টুইটারে এ ধরনের শিরোনামে ভূঁইফোড় অনলাইনগুলোর ছড়ানো নানা ভুয়া খবরে কী নাকালটাই না হয়েছেন তিনি; যার পরিণতি, সবদিক থেকে তুমুল সমর্থন পেয়েও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে গেছেন তিনি, এমনকি জনপ্রিয়তার ভোটে বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে থেকেও।
সেই তিনি হিলারি ক্লিনটন শেষ পর্যন্ত ভুয়া খবরের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে হিলারি বলেন, ভুয়া খবর বিশ্বের জন্য মহামারি হিসেবে রূপ নিচ্ছে। এটা এখনই থামানো না গেলে বাস্তব বিশ্বের পরিণতি অপেক্ষা করছে।
মাসখানেক আগের নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে বক্তৃতা করছিলেন হিলারি। তার এ অনুষ্ঠান বিশ্ব সংবাদমাধ্যম ব্যাপকভাবে প্রচার করেছে।
হিলারি বলেন, গত বছর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ভুয়া খবরের মধ্যে ভেসেছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে বাস্তব বিশ্বকে পরিণতি ভোগ করতে হবে। এটা বিপজ্জনক হয়ে উঠছে এবং এর মোকাবেলা করতে হবে এখনই, যতো দ্রুত সম্ভব।
এসময় হিলারি নিজেকে ভুয়া খবরের ভুক্তভোগী বলেও উল্লেখ করেন। তিনি ‘পিজ্জাগেট’ বলে পরিচিত ভুয়া খবরটির উল্লেখ না করলেও আকারে-ইঙ্গিতে উঠে আসে সে কথাও।
পিজ্জাগেট বলে পরিচিত ভুয়া খবরটিতে বলা হয়, ওয়াশিংটনে একটি পিজ্জা শপ রয়েছে, যেটাতে শিশুদের পাচার ও যৌনতায় বাধ্য করা হয়। আর এই পিজ্জা শপ পরিচালনায় রয়েছেন হিলারির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্যাম্পেইনের প্রধান। এই খবর ছড়ানোর পর ওই শপে বন্দুক নিয়ে হামলা চালায় এক ব্যক্তি। এতে কারও প্রাণহানি না হলেও পুরো আমেরিকায় হইচই পড়ে যায়। এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে ছড়ানো হতে থাকে অন্যান্য ভুয়া খবরও।
হিলারি বৃহস্পতিবার এ ভুয়া খবরের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুললেও আরও আগে থেকেই সমালোচনার শূলে রয়েছে ফেসবুক-টুইটার-ব্লগসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো। যদিও ভুয়া খবর রুখতে এরইমধ্যে নানামুখী পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে অভিযুক্ত মাধ্যমগুলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৬
এইচএ/