ঢাকা: সম্প্রতি অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে। রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জয়ী করতে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন ও তার নির্বাচনী প্রধানের ব্যক্তিগত ই-মেইল হ্যাকিং করে তথ্য পাচারের অভিযোগ আছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে।
এসব অভিযোগ প্রমাণিত হলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তিনি বলেন, ‘আমাদের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার এবং আমরা তা করবো’।
মার্কিন এক রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাতকারে বারাক ওবামা এ কথা জানিয়েছেন বলে শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়।
কিছুদিন আগে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা’র (সিআইএ) গোপন প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে লা হয়, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের প্রতি আমেরিকানদের আস্থা ও বিশ্বাস নষ্ট করার জন্য তারা কাজ করেছে। মার্কিন কিছু কর্মকর্তার সঙ্গে মস্কোর গোপন যোগাযোগ ছিলো। যারা উইকিলিকসের কাছে তথ্য পাচার করেছেন।
এমন খবর প্রকাশ হলে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। একই সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার অপেক্ষায় থাকা ডোনাল্ড ট্রাম্প সিআইএ’র প্রতিবেদনে ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
টাইম ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি অস্বীকার করে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমি এটি বিশ্বাস করি না। তাদের (রাশিয়া) হস্তক্ষেপের বিষয়টি আমি বিশ্বাস করি না। ’
‘বিষয়টি হাস্যকর হতে পারে, কিন্তু আলোচনার বিষয় হতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প। ই-মেইল হ্যাকিংয়ের প্রসঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ‘রাশিয়া হতে পারে, চীন হতে পারে। এমনকি যে কেউ ই-মেইল হ্যাক করতে পারে। ’
গত ৮ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে রিপাবলিকান দলের ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩০৬টি ইলেক্টোরাল ভোট পেয়ে জয়ী হন। আর হিলারির থলিতে পড়ে ২৩২টি ইলেক্টোরাল ভোট।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৬
টিআই