দামেস্ক: সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের ওপর থেকে সকল প্রকার সামরিক অভিযান বন্ধ করা হয়েছে। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনকে এ বিষয়ে অবহিত করেছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ মুখপাত্র ফারহান হক।
সকল প্রকার সামরিক অভিযান বন্ধে জাতিসংঘ মহসচিবের করা আহবানের বিপরীতে প্রেসিডেন্ট বাশার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও জানায় ওই মুখপাত্র।
গত মার্চ মাস থেকে শুরু হওয়া সহিংসতার ঘটনায় প্রেসিডেন্ট আসাদের বিরুদ্ধে ক্রমেই সহিংসতা বন্ধে আন্তর্জাতিক চাপ বেড়ে আসছিল।
সিরিয়ার চলমান সহিংসতায় এ পর্যন্ত দুই হাজার মানুষ মারা গেছে এবং প্রায় দশ হাজার মানুষ গ্রেপ্তারের শিকার হয়েছে।
সর্বশেষ সহিংসতায় সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর হাতে বন্দর নগর লাতাকিয়ায় কয়েক ডজন মানুষ মারা যায়। এছাড়াও প্রায় পাঁচ হাজার ফিলিস্তিনি শরণার্থী তাদের শরণার্থী শিবির ত্যাগে বাধ্য হয়েছেন।
জাতিসংঘের এক বিবৃতিতে বান কি মুন বলেন, ‘সিরিয়াতে সহিংসতায় ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। সিরীয় বাহিনীর এই বিস্তৃত অভিযান দেশটিকে সহিংসতা-হানাহানির দিকে ঠেলে দিয়েছে। ’
ওই বিবৃতিতে বান কি মুন সামরিক অভিযান বন্ধের ওপর জোর দিয়ে আরও বলেছিলেন, সিরিয়ার নীরিহ জনগণের ওপর থেকে সকল প্রকার সামরিক অভিযান এই মুহূর্তে বন্ধ করতে হবে।
সিরিয়ার পুনর্গঠন এবং সার্বিক সহায়তার প্রশ্নে জাতিসংঘ সার্বক্ষণিক সিরিয়ার জনগণের পাশে থাকবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন।
এদিকে জাতিসংঘ বলছে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদ দেশটির পুনর্গঠনের জন্য কাজ করছে। এর মধ্যে সংবিধান পরিবর্তন এবং নির্বাচন সামনে রেখে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাকে সিরিয়াতে প্রবেশের অনুমতিও দেবে আসাদ সরকার।
২০০০ সালে প্রেসিডেন্ট বাশার তার বাবার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসেন। এরপর থেকে দেশটিতে কোনো প্রকার নির্বাচন এবং সাংবিধানিক পরিবর্তন হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১১