করাচি: করাচিতে ভয়াবহ সংঘর্ষে ২৩ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার রাতব্যাপী সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় পাকিস্তান ভিত্তিক গণমাধ্যম ‘ডন’।
এদিকে করাচি পুলিশের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় অন্তত ৩৩ জন মানুষ মারা গেছে।
করাচি পুলিশ প্রধান সাউদ মির্যা বলেন, ‘বুধবারের ঘটনা সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে দেখছে। বেশিরভাগ হত্যাকা-ই লাঈরি এবং এর আশপাশ অঞ্চলে সন্ত্রাসী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের কারণে ঘটেছে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘গত মাসেও এরকম ঘটনা ঘটেছে। এটা কোনও রাজনৈতিক ঘটনা নয়। এটা শুধুই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। ’
এ বিষয়ে একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, এই সন্ত্রাসী বাহিনীগুলো প্রায়ই নিজেদের মধ্যে এধরনের সহিংস ঘটনা ঘটায়। নিজ দল বা বিরোধী দলের সদস্যদের প্রতি চড়াও হয় তারা।
তবে বেশিরভাগ সময়ই সন্ত্রাসী বাহিনীর এই অন্তকোন্দলের শিকার হয় করাচির নীরিহ জনগণ। বলা হয় যে, যে সকল সন্ত্রাসী বাহিনী করাচিতে দাঙ্গা-হাঙ্গামা করে থাকে এদের বেশিরভাগেরই পেছনে কোনো না কোনো রাজনৈতিক দল আছে।
শহরের বিভিন্ন জায়গায় অন্তত ১৬টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে। শেরশাহ এলাকায় পাওয়া যায় আরও চারটি মৃতদেহ। বালদিয়া, কাকরি, গার্ডেন এবং মারিপুর এলাকায় আরও পাঁচটি মৃতদেহ পাওয়া যায়। প্রায় সবগুলো মৃতদেহের শরীরের গুলির চিহ্ন ছিল।
করাচি পাকিস্তানের অন্যতম গোলোযোগপূর্ণ এলাকার একটি। বিগত তিনমাস ধরে একের পর এক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে এখানে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক করাচির সহিংসতা বন্ধে সমযোপযোগী পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিলেও একের পর এক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেই চলেছে করাচিতে।
তবে করাচির পুলিশ কর্তৃপক্ষ বরাবরের মতো এই ঘটনাকে সন্ত্রাসীদের কাজ বলে প্রচার করলেও, স্থানীয় বাসিন্দারা বলছে, করাচির রাজনৈতিক টানাপোড়েন এবং জাতিগত দাঙ্গাই এই হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ।
দেশটি স্বাধীন হওয়ার পর থেকে করাচিতে জাতিগত দাঙ্গায় অগনিত মানুষ প্রান হারিয়েছে ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১১