বেইজিং: চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক সঙ্গে কাজ করার উপর বিশ্ব অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নির্ভর করে বলে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জি জেংপিংয়ের উদ্দেশে একথা বলেন। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট চীন সফরের প্রথম দিনেই একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সর্বাধিক অগ্রাধিকার পাবে। ’
আমেরিকার ঋণ সংকট নিয়ে চীন-মার্কিন সম্পর্কে যখন উত্তেজনা বাড়ছিল তখনই জো বাইডেন চীন সফর করলেন। চীন আমেরিকার সবচেয়ে বড় ঋণদানকারী দেশ এবং দেশটি যুক্তরাষ্ট্রকে তার ঋণ আসক্তি কমানোর উপর জোর দিতে বলেছে। চীনের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম চীন-মার্কিন সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিতিরতার বিষয়টিকে একটু নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়। এতে যুক্তরাষ্ট্রকে ঋণঘাটতি কমিয়ে আনার জন্য বলা হয়।
চীন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এক ট্রিলিয়ন ডলার পায় এবং চীন যুক্তরাষ্ট্রকে তার বাজেট ঘাটতি কমাতে বলেছে। রেটিং এজেন্সি স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওরস এর এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ মাসের প্রথমদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেডি রেটিং (্ঋণমান) এ যাবৎকালের মধ্যে একধাপ নিচে নেমে যায়। এই ঋণমান নিচে নেমে যাওয়া প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রশাসনের জন্য একটা বড় ধাক্কা।
এবিষয়ে বিশ্লেষকরা বলছেন, চীন এবিষয়ে তাদের উদ্বেগের কথা যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়ে দিয়েছে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানায়, জি জেনপিং যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে, বিশ্ব অর্থ বাজারে সাম্প্রতিক অস্থিরতা বিশ্বকে কয়েকটি চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিয়েছে। বিশ্বের দুই অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে বাজারকে শক্তিশালী করার জন্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতির ক্ষেত্রে সমন্বয় সাধন করা।
বেইজিং এর গ্রেট হলে জো বাইডেন বলেন, ‘বিশ্ব অর্র্থনৈতিক স্থিতিশীলতা কোন ছোট অংশের সমন্বয়ের উপর নির্ভর করে না। আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, এটা নির্ভর করে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার উপর। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১১