কাবুল: আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে ব্রিটিশ কাউন্সিল ভবনে শক্তিশালী আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়েছে। হামলায় অন্তত আটজন নিহত, অনেকেই আহত হয়েছে এবং মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে কাবুল পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
ব্রিটিশ কাউন্সিল ভবনে হামলার কয়েক ঘণ্টা আগেই কাবুলে আরও একটি শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই বিস্ফোরণে কি পরিমান হতাহতের ঘটনা ঘটেছে তা জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে ব্রিটিশ কাউন্সিল ভবনে হামলার আগে মহড়া হিসেবে ওই বোমা হামলা চালানো হয়েছিল।
এদিকে ঘটনার দায় স্বীকার করে তালেবানরা বলছে, ১৯১৯ সালে যুক্তরাজ্যের হাত থেকে আফগানিস্তান মুক্ত হয়েছিল। সেই উপলক্ষে স্বাধীনতা দিবস পালনে এ হামলা চালানো হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র কাবুলে ব্রিটিশ কাউন্সিলে হামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের দূতাবাসের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল আফগান কর্তৃপক্ষ। ’
গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানায়, ‘প্রথমত একজন আত্মঘাতী বোমাহামলাকারী কাবুলের পশ্চিমে একটি চত্বরের সামনে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। সেসময় সেখানে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বরত অবস্থায় ছিল। এর দশ মিনিট পরেই একজন আত্মঘাতী বোমাহামলাকারী একটি গাড়ি নিয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিল ভবনের ফটকের সামনে বোমা বিস্ফোরণ করে। ’
স্থানীয় দোকানদাররা বলছে, প্রায় নয়জন আত্মঘাতী বোমাহামলাকারী এ হামলা চালায়। এসময় তারা রকেট চালিত গ্রেনেড, মেশিনগান এবং একে-৪৯ এর মতো ভারী অস্ত্রে সজ্জিত ছিল। বোমা বিস্ফোরণের পরপরই তারা গুলি ছুড়তে ছুড়তে ব্রিটিশ কাউন্সিল ভবনের দিকে এগুতে থাকে।
নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে তালেবানদের প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বন্দুক যুদ্ধ হয়।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, আমাদের ধরনা প্রায় আট থেকে নয় জন আত্মঘাতী হামলাকারী ব্রিটিশ কাউন্সিল ভবনের মধ্যে লুকিয়ে আছে। তাদের কাছে পর্যাপ্ত গোলাবারুদ আছে। এই মুহুর্তে আমরা পরিস্কার নয় যে তারা কিভাবে ব্রিটিশ কাউন্সিল ভবনের ভেতর ঢুকতে পারলো।
ব্রিটিশ কাউন্সিল ভবনের এক অংশের দেয়াল বোমা বিস্ফোরণে পুরোপুরি ধসে গেছে। সেখান দিয়েই তালেবান সদস্যরা কাউন্সিল ভবনে ঢুকে পরতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।
ব্রিটিশ কাউন্সিল ভবনে মূলত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়েজিত হতো।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১১