করাচি: পাকিস্তানের করাচিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হওয়া সহিংসতায় অন্তত আরও দশ জন মারা গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা এনিয়ে ৫৭ তে দাড়ালো বলে জানায় পাকিস্তান ভিত্তিক গণমাধ্যম ‘ডন’।
করাচির গুলশান-ই-ইকবাল এবং শিরীর জিন্নাহ কলোনি থেকে দুইজনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। অপরদিকে লাঈরি, খারদার এবং নতুন করাচিতে আরও তিনজনের মৃতদেহ পাওয়া যায়।
পাকিস্তান পিপলস পার্টির সবেক আইনপ্রণেতা বুধবার এক সংঘর্ষে মারা যাওয়ার পর থেকেই পুরো করাচি জুরে সহিংসতা ছড়িয়ে পরে।
বৃহস্পতিবার সকালে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ২১ টি গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। লাশগুলোর বেশিরভাগই ছিল ছালার বস্তায় বন্দী। পুরো দিনব্যাপী সংঘর্ষে ৩০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায়।
বেশির ভাগ মৃতই মূলত শ্রমিক শ্রেণীর। এদেরকে তাদের কর্মস্থল থেকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং পরবর্তীতে হত্যা করা হয়। কিছু ব্যক্তিকে আবার যানবাহন থেকে জোরপূর্বক টেনে নামিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানায় করাচি পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
সাম্প্রতিক এ হামলার ঘটনায় লাঈরি, পুরাতন করাচি এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বেধে যাওয়ার ভয় করা হচ্ছে। যদিও করাচির বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো বলছে, হত্যাকা-গুলো সবই বিভিন্ন গু-াবাহিনীর কাজ। এ পেছনে কোনো রাজনৈতিক যোগসাজস নেই।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে, বিগত তিন বছরের হত্যাকা-ের জন্য মূলত রাজনৈতিক বৈরিতা এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাই দায়ী।
সিন্ধু পুলিশের অতিরিক্ত আইজি সাউদ মির্যা বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া সহিংসতার জন্য মূলত স্থানীয় গু-া বাহিনীই দায়ী। তবে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, গু-া বাহিনী উর্দু ভাষাভাষী মানুষ এবং বালুচ সাধারণ মানুষদেরই হত্যা করছে বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১১