ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলে আশ্বস্ত সু চি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১১
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলে আশ্বস্ত সু চি

নাইপিদো: প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলে আশ্বস্ত বোধ করছেন মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি। গত শুক্রবার প্রথমবারের মতো দেশটির বেসামরিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলার পর শনিবার তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।



শুক্রবার প্রেসিডেন্ট থেইস সেইনের সঙ্গে সু চির এক ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা হয়। এসময় তারা মিয়ানমারের ভবিষ্যত এবং আর্থসামাজিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করেন।

এক ঘণ্টার এই আলোচনা সফল বলেও মন্তব্য করেন নোবেল বিজয়ী এই গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী।

সু চি আরও বলেন, আমি তাকে দেখে খুশি এবং একই সঙ্গে আশ্বস্তও বটে।

বিরোধী জান্তা সরকারের এক সময়কার সদস্যের সঙ্গে সু চির এটি একটি অপ্রত্যাশিত সাক্ষাত। বিগত দুই দশকের মধ্যে সরকার এবং সরকারের প্রধান বিরোধী দলের প্রধানের মধ্যে এটিই প্রথম সাক্ষাত।

সরকারের পক্ষ থেকে সু চিকে আমন্ত্রন এবং সু চির নাইপিদোতে যাওয়াকে গণতান্ত্রিক যাত্রার পথে একধাপ বলে ধারনা করা হচ্ছে।
 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মিয়ানমারের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সু চির বেশ ভালো আলোচনা হয়েছে এবং সেটা ছিল বেশ খোলামেলা।

যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই কর্মকর্তা আলোচনার বিষয়ে আর বেশি কিছু বলতে পারেন নি। কারণ আলোচনাটি ছিল রুদ্ধদ্বার বৈঠক।
 
সরকার মুখপাত্র বলেন, দু পক্ষই নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনগণের পক্ষে আলোচনা করেছেন। বিভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে তারা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেছেন। আলোচনার সময় ছিল খুবই অল্প কিন্তু আলোচনা সফল হয়েছে।

শনিবার মিয়ানমারের সংবাদ মাধ্যমগুলো প্রেসিডেন্ট ভবনে সু চি ও থেইন সেইনের অবস্থানকালীন চিত্র প্রকাশ করেছে।

একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম কর্মী জানান, প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে আলোচনা শেষ করে সু চি বের হয়ে আসলে তাকে বেশ খুশি এবং উচ্ছসিত দেখাচ্ছিল। এসময় তার সঙ্গে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং মন্ত্রীরাও ছিলেন।
 
এর আগে সু চিকে জুন মাসে সকল প্রকার রাজনীতি থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছিল। একই সঙ্গে সু চির রাজনৈতিক সফর দাঙ্গার সৃষ্টি করতে পারে বলে তাকে সফর থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়েছিল।
 
কিন্তু মিয়ানমারের বর্তমান প্রেসিডেন্ট এই কড়াকড়ি ভাবমুর্তি থেকে বের হয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে চাচ্ছেন বলে ধারনা করছেন দেশটির রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন ছিলেন সাবেক জেনারেল এবং জান্তা সরকারের প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।