ইংরেজি নতুন বছর ২০১৭ উপলক্ষে শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) দেওয়া এক বাণীতে বিশ্বজুড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার এ ডাক দেন তিনি। এদিন থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘের দায়িত্ব গ্রহণ করছেন পর্তুগালের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী
গুতেরেস বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিব হিসেবে প্রথম দিনে একটি প্রশ্ন আমার হৃদয়ে প্রচণ্ডভাবে প্রভাব ফেলে, কীভাবে আমরা দ্বন্দ্বে আক্রান্ত ও সমাপ্তিহীন যুদ্ধে ব্যাপকভাবে দুর্ভোগ পোহানো লাখো মানুষকে সাহায্য করতে পারি?
বিশ্বজুড়ে অস্থিরতার কথা উল্লেখ করে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, বেসামরিক নাগরিকরা বড় শক্তির কাছে জিম্মি।
তিনি বলেন, এসব যুদ্ধে কেউ জয়লাভ করতে পারে না, সবারই পরাজয় ঘটে। কোটি কোটি ডলার খরচ হয়, সমাজ ও অর্থনীতি ধ্বংসপ্রাপ্ত হচ্ছে, অবিশ্বাস ও ভয়ের সৃষ্টি হচ্ছে, যা বংশ পরম্পরা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। সমগ্র অঞ্চল অস্থিতিশীল হয় ও বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ আমাদের সবাইকে আক্রান্ত করে।
নতুন বছরে অংশগ্রহণমূলক নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে গুতেরেস বলেন, আসুন শান্তিকেই সর্বপ্রথম রাখার সিদ্ধান্ত নিই।
তিনি বলেন, আসুন ২০১৭ সালকে এমন বছরে পরিণত করি যেখানে আমরা নাগরিক, সরকার ও নেতা সবাই সব রকমের বৈষম্য নিরসনে কাজ করবো। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের সংহতি ও সমবেদনা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক বিভাজনে সংলাপ ও শ্রদ্ধা প্রয়োজন। প্রয়োজন যুদ্ধক্ষেত্রে বিরতি থেকে শুরু করে রাজনৈতিক সমাধানে পৌঁছুতে আলোচনার টেবিলে সমঝোতাও। অবশ্যই শান্তি আমাদের লক্ষ্য ও নির্দেশক হিসেবে কাজ করবে।
তিনি বলেন, মানব পরিবার হিসেবে যা আমরা পেতে চাই অর্থাৎ সম্মান ও আশা, উন্নতি ও সমৃদ্ধি তা নির্ভর করে শান্তির ওপর। কিন্তু শান্তি নির্ভর করে আমাদের ওপর। শান্তি প্রতিষ্ঠায় সবাইকে আমার সঙ্গে যোগ দিতে আবেদন জানাই, আজ ও প্রতিদিন।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৭
জেপি/এইচএ/