ত্রিপোলি: বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে বলে দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন লিবীয় নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির পুত্র সাঈফ আল-ইসলাম।
গত রোববার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে গাদ্দাফির পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ তার দুই পুত্রকে গ্রেপ্তার করেছে বলে দাবি করে বিদ্রোহীরা।
বিদ্রোহীদের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করে সাঈফ বলেন, গাদ্দাফি ত্রিপোলিতেই আছেন এবং বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে।
এক ভিডিও চিত্রে দেখা যায় যে, সাঈফ তার অনুসারী বেষ্টিত হয়ে একটি হোটেলের বাইরে বক্তব্য রাখছেন। তিনি মঙ্গলবার সকালে তার বসবাসরত হোটেল রিক্সোস থেকে অন্যত্র চলে যান। যদিও বিদ্রোহীরা দাবি করছে যে সাঈফকে গোপন স্থানে আটক করে রাখা হয়েছে।
একজন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম কর্মী জানান, এসময় সাঈফকে খুবই আত্মবিশ্বাসী এবং উদ্দীপনায় ভরপুর দেখাচ্ছিল।
সোমবার ভোরবেলা ‘অপারেশন জলপরী’ নামের এক অভিযানের মধ্য দিয়ে বিদ্রোহীরা ত্রিপোলিতে ঢুকে পড়ে। এরপর থেকে গাদ্দাফি বাহিনী এবং বিদ্রোহী বাহিনীর মধ্যে লাগাতার সংঘর্ষ চলছে। দুপক্ষই দাবি করছে যে ত্রিপোলি তাদের দখলে।
সাঈফ একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা বিদ্রোহীদের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিতে সক্ষম হয়েছি। ত্রিপোলিতে বিদ্রোহীরা ফাঁদের শিকার হয়েছে। তাদের জন্য ফাঁদ পাতা হয়েছিল। আমরা তাদের উচিত শিক্ষা দেব এবং শেষমেষ আমরাই জিতবো।
মুয়াম্মার গাদ্দাফি কি লিবিয়াতে আছেন সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই বাবা লিবিয়াতে আছেন। তিনি লিবিয়া থেকেই যুদ্ধের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
৩৯ বছর বয়সী সাঈফকে গাদ্দাফির অন্যতম যোগ্য উত্তরসুরী হিসেবে ধরা হয়।
সাঈফ আরও বলেন, আমি আমার বিরুদ্ধে করা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে তোয়াক্কা করিনা। ত্রিপোলি সম্পূর্ণ আমাদের নিয়ন্ত্রনে আছে।
লিবীয় নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি এই মুহূর্তে ঠিক কোথায় আছে তা অস্পষ্ট। চলতি মাস জুরেই তাকে জনসমক্ষে দেখা যায়নি। কিন্তু তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে একের পর এক অডিও বার্তা দিয়ে গেছেন। রোববারের এক অডিও বার্তায় তিনি বিদ্রাহীদের কবল থেকে ত্রিপোলিতে বাচাঁনোর জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান।
এদিকে বেনগাজিতে অবস্থিত জাতীয় ক্রান্তিকাল কাউন্সিলের(এনটিসি) সদস্যরা আগামী বুধবার নতুন সরকার গঠনে রাজধানী ত্রিপোলি যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১১