ত্রিপোলি: লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে বিদ্রোহীরা ঢুকে পড়ায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজ। এতোদিনে ন্যাটোর লিবিয়ার তেল-সম্পদ দখল করার সাধ পূরণ হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
হুগো শ্যাভেজ আরও বলেন, ন্যাটোর দায়িত্ব অনেকটা একনায়কের মতো। আমরা ইউরোপের গণতন্ত্রের চেহারা দেখছি। অন্য দেশের ওপর দমন পীড়ন চালিয়ে তারা নিজেদের গণতন্ত্র সুসংহত রাখে। যুক্তরাষ্ট্রের বোমারু বিমান ত্রিপোলি ধ্বংস করে দিয়েছে।
নিন্দা জ্ঞাপন করে শ্যাভেজ আরও বলেন, আমি জানিনা তারা কি পরিমান বোমা নিক্ষেপ করেছে লিবিয়াতে। নির্লজ্জের মতো তারা বোমা বর্ষণ করে যাচ্ছে। বোমাগুলো ত্রিপোলির স্কুল, হাসপাতাল, ঘর-বাড়ি, শিল্প-কারখানা ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা ত্রিপোলির অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে যাতে করে তারা লিবিয়াতে স্থায়ীভাবে থাকতে পারে। গাদ্দাফি অজুহাত মাত্র, তাদের আসল লক্ষ হলো লিবিয়ার তেল।
এদিকে বিদ্রোহীদের ত্রিপোলি জয়কে অভিনন্দন ও সাধুবাদ জানিয়েছেন পশ্চিমা নেতৃবৃন্দ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া জিলার্ড এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বিদ্রোহীদের অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য রেখেছেন।
পশ্চিমা নেতাদের ভাষায় লিবিয়ার বিদ্রোহীদের জয় হয়নি, হয়েছে গণতান্ত্রিক আকাঙ্খার বিজয়।
কথিত গণতান্ত্রিক বিজয়কে স্বাগত জানিয়ে তাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, স্বৈরশাসকের হাত থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ত্রিপোলি। গাদ্দাফির পতন এক রাতের ব্যাপার মাত্র। লিবিয়ার জনগণ প্রমান করে দিয়েছে যে, স্বাধীনতার সংগ্রাম কতটা শক্তিশালী হতে পারে।
উল্লেখ্য, লিবিয়ার সংকট শুরু থেকেই মুয়াম্মার গাদ্দাফির পক্ষে প্রায় প্রতিদিন কয়েক লাখ মানুষ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। তারা বারবার লিবিয়াতে ন্যাটো হামলা বন্ধের আহবান জানালেও ন্যাটো অব্যাহতভাবে বোমা হামলা চালিয়ে গেছে। এতেগুলো মানুষের বিক্ষোভ অগ্রাহ্য করে ন্যাটো লিবিয়াতে বোমা হামলা চালানোয় অনেক বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। প্রথমদিকে ন্যাটো একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত লিবিয়াতে হামলা চালানো হবে বলে জানালেও পরবর্তীতে তারা পর্যায়ক্রমে মেয়াদ বাড়িয়ে নেয়। এখন পর্যন্ত তারা লিবিয়ার বিভিন্ন স্থানে বোমাবর্ষণ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১১