করাচি: পাকিস্তানের বন্দর নগর করাচিতে মঙ্গলবার এক সপ্তাহ ধরে চলা সহিংসতার প্রতিবাদে ডাকা ধর্মঘটে অচল হয়ে পড়েছে শহরটি।
স্কুল, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি অফিস আদালত বন্ধ রয়েছে।
সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, গত এক সপ্তাহে দক্ষিণাঞ্চলে রাজনৈতিক এবং গোষ্ঠিগত সহিংসতায় কমপক্ষে ১০০জন নিহত হয়েছে। জুলাই থেকে এ পর্যন্ত তিনশতাধিক লোক প্রাণ হারিয়েছে। করাচির প্রধান রাজনৈতিক দল এমকিউএম মঙ্গলবারের এই ধর্মঘট আহবান করে।
সহিংসতা মোকাবেলায় ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ তুলে এ মাসের প্রথম দিকে এমকিউএম ক্ষমতাসীন পিপিপি জোট থেকে তাদের সমর্থন তুলে নেয়।
প্রাদেশিক তথ্যমন্ত্রী সারজিল মেনন জানান, সিন্ধু প্রদেশের সরকার প্রাদেশিক রাজধানী করাচির বেশি সহিংতায় আক্রান্ত এলাকাগুলোতে ‘সাঁড়াশি’ অভিযান পরিচালনা করবে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীকে নামানো হবে কিনা তা নিয়েও বিতর্ক শুরুর মুখে পড়ে। সাবেক সাংসদ ওয়াজা করিম দাদ নিহত হওয়ার পরই এই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ জানায়, এদের অনেকই প্রথমে অপহরণ করা হয়,পরে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়।
সংবাদসংস্থাগুলো জানায়, এসব হত্যা ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত পরে এটা দাঙ্গায় রুপ নেয়। বেশিরভাগ সহিংসতাই করাচির সুবিধা বঞ্চিত লিয়ারির আশেপাশে ঘটে। গুলিতে নিহতদের মধ্যে নারী, শিশু, কিশোর ফুটবল খেলোযাড়রা রয়েছে। এদের অনেকের লাশই চটের ব্যাগে বস্তাবন্দী অবস্থায় পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১১