ত্রিপোলি: লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির কম্পাউন্ড বাব আল-আজিজিয়ার চারপাশে বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে মঙ্গলবার আরও তীব্র আকারে লড়াই শুরু হয়েছে। আল অ্যারাবিয়া টিভি চ্যানেলসহ বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসংক্রান্ত খবর বেরিয়েছে।
এর আগে গত রোববার বিদ্রোহী বাহিনী প্রথমবারের মতো রাজধানী ত্রিপোলির বেশিরভাগ অঞ্চলই নিজেদের দখলে নেয়। একই সঙ্গে তারা দাবি করে, গাদ্দাফির দুই ছেলে সাইফ আল গাদ্দাফি ও মোহাম্মদ গাদ্দাফিকে বন্দি করেছে। তবে মঙ্গলবার সাইফ তার অবস্থান নেওয়া হোটেল থেকে বেরিয়ে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে জোরদার লড়াইয়ের ঘোষণা দেন। আর মোহাম্মদ গাদ্দাফি বিদ্রোহীদের কাছ থেকে পালিয়েছেন বলেও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম জানায়।
এদিকে, রাশিয়ার দাবা ফেডারেশনের প্রধান কিরসান ইলুমঝিনভ জানান, তিনি মুয়াম্মার গাদ্দাফির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। গাদ্দাফি জীবিত আছেন এবং তার ত্রিপোলি ছাড়ার কোনো পরিকল্পনা নেই বলেও কিরসান উল্লেখ করেন।
ইলুমঝিনভ বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে গাদ্দাফির বড় ছেলে মোহাম্মদ তাকে ফোন করে তার পিতাকে ধরিয়ে দেন। এসময় গাদ্দাফির সঙ্গে তার কথা হয়। এসময় তিনি আমৃত্যু লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
ত্রিপোলির বিক্সস হোটেলের অবস্থানরত সাংবাদিকরা মঙ্গলকার সকাল নয়টায় রকেট ও ভারি গোলাগুলির শব্দে কেঁপে উঠেন। এর চারপাশে তীব্র লড়াই চলছে। এরই মধ্যে ন্যাটোর বিমান আকাশে বিমান উড়তে দেখা গেছে।
একটি ব্যাপারে কেউ নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেনি, গাদ্দাফি ত্রিপোলিতে আছে নাকি ছেড়ে গেছেন। তবে সাইফ হোটেল থেকে বেরিয়েই সাংবাদিকদের বলেন, তার পিতা নিরাপদে আছেন এবং তিনি অনুগত সেনা সদস্যদের বিদ্রোহীদে দমন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার সম্প্রচারিত ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে, বাব আল-আজিজিয়ার চারপাশে ধোঁয়ার কু-লি দেখা গেছে। এই কম্পাউন্ডকে ঘিরেই তীব্র লড়াই শুরু হয়েছে।
এদিন ইতালির নাপোলসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ন্যাটোর মুখপাত্র রোলাঁ লাভোই বলেন, ‘আমাদের অভিযান এখনো সমাপ্ত হয়নি। তিনি গাদ্দাফিপন্থী সেনা সদস্যদের ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান। লাভোই বলেন, ‘সেনা সদস্যরা ফিরে না গেলে আমরা অভিযান চালিয়ে যাব। ’ গাদ্দাফির অবস্থান সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা জানি না। এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। ’ ত্রিপোলির পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১১