নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের কয়েকটি দেশ জাতিসংঘকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ, তার সহযোগী এবং তার শাসনের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপের পক্ষে তাদের সমর্থন দিয়েছে। কিন্তু চীনও রাশিয়া এই খসড়া প্রস্তাবের বিপক্ষে তাদের ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করেছেন।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, মার্চে আসাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে দুই হাজার দুইশোরও বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছে। জাতিসংঘ তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আসাদের বিরুদ্ধে আসাদের শাসন আমলের বিরুদ্ধে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ আনা হবে।
জাতিসংঘ কার্যালয়ে মঙ্গলবারের ওই খসড়া প্রস্তাবে প্রেসিডেন্ট আসাদ এবং তার ২২ সহযোগীসহ গোয়েন্দা বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়। বার্তা সংস্থা এএফপির সংবাদে বলা হয়, বেসামরিক লোকজনের উপর যারাই হামলা চালাচ্ছে তারাই এর জন্য দায়ী হবেন।
সিরিয়ার লোকজন কোন বিদেশি সেনাদের হস্তক্ষেপ চায় না উল্লেখ করে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত সুজান রাইস জানান, এই প্রস্তাবে কোন সামরিক পদক্ষেপের কথা বলা হয় নি। সুজান রাইস সিএনএনকে বলেন, আসাদের বোঝা উচিৎ, তিনি এমন একটি বিপদজনক ও অনৈতিক পথে এগুচ্ছেন যা তার নেতৃত্বের জন্য অশুভ ফল বয়ে আনবে।
রাশিয়া জানায়, যেহেতু ৩আগস্ট জাতিসংঘ এক প্রস্তাবে সিরিয়ার সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে। সুতরাং এই মহূর্তে আর কোন কঠিন পদক্ষেপ নেওয়ার দরকার নেই। উল্লেখ্য, নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়ার ভেটো ক্ষমতা রয়েছে এবং দেশটি সিরিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র।
চীন কর্তৃপক্ষ সিরিয়ার সরকার এবং বিরোধীদের আলোচনার মাধ্যমে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর আহবান জানিয়েছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মা ঝোয়াঝু বেইজিং জানান, সিরিয়ার ভবিষ্যতের ব্যাপারে সিরিয়ার নিজেরই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ। উল্লেখ্য,চীনেরও ভেটো ক্ষমতা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১১