ত্রিপোলি: লিবিয়ার পলাতক সাবেক স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির কম্পাউন্ড মঙ্গলবার দখল করে নেওয়ার একদিন পরও বুধবার ত্রিপোলিতে গাদ্দাফি অনুগত সেনাদের সঙ্গে বিদ্রোহীদের তুমুল লড়াই চলছে। সঙ্গে ন্যাটোর নতুন বিমান হামলা তো রয়েছেই।
বিদ্রোহীরা গাদ্দাফি অনুগতদের সঙ্গে ত্রিপোলির মধ্যাঞ্চল এবং দক্ষিণঅঞ্চলের কয়েকটি এলাকায় তুমুল লড়াইয়ে লিপ্ত। এছাড়া শহরের আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের পূর্বাঞ্চলে নতুন সৃষ্ট একটি যুদ্ধ ক্ষেত্রে ও তীব্র লড়াই চলছে।
ন্যাটোর বিমান হামলা চলার সময় শহরে দুটি বোমা বিস্ফোরিত হয়। গাদ্দাফি কোথায় আছে তা অজানা থাকলেও রাতে পাঠিানো এক অডিও বার্তায় তিনি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে, মৃত্যু অথবা বিজয় যে কোন একটা অর্জনের দাবি জানান।
কিন্তু বিবিসির সংবাদদাতা ত্রিপোলি থেকে জানান কেউই তার এই দাবি বিশ্বাস করেনি।
প্রধান কার্যালয় বাব আল আজিজিয়া ত্যাগ করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, কৌশলগত কারণে তিনি তা ত্যাগ করেছেন।
মঙ্গলবার বিদ্রোহীরা গাদ্দাফির প্রধান কার্যালয় বাব আল আজিজিয়া দখল করে নেওয়ার পরও গাদ্দাফি অনুগত স্নাইপারদের (গুপ্ত হামলাকারী) সেখানে দেখা গেছে।
একজন বিদ্রোহী নেতা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, গাদ্দাফি অনুগত সেনারা বিমানবন্দরের আশেপাশের অঞ্চলে লুকিয়ে ছিল।
উপকূলীয় শহর সিরাতে ও রাজধানী ত্রিপোলি থেকে ৪০০ মাইল দূরের শহর সেবায়ও চলতি সপ্তাহে যুদ্ধ শুরু হয়েছে। এই দুটি শহরে এখনও গাদ্দাফির ব্যাপক সমর্থন রয়েছে।
এদিকে বিদ্রোহীদের একজন মুখপাত্র বিবিসিকে জানান, শান্তিপূর্ণ যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে সেবা এবং সিরাতের অধিবাসীদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা চলছে।
এদিকে বুধবার সকালে ও ত্রিপোলির রিজক্স হোটেলে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। এখানে গাদ্দাফি অনুগত সেনারা ৩৫ জন বিদেশিকে বন্দী করে রেখেছে যাদের বেশিরভাগই সাংবাদিক ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১১