ঢাকা: লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির দীর্ঘদিনের শাসনামলের শিগগির অবসান ঘটতে যাচ্ছে। সশস্ত্র বিদ্রোহীরা তার ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু বাব আল আজিজিয়া কম্পাউন্ড দখলে নিয়েছে।
কিন্তু বেদুইন পিতা-মাতার একগুঁয়ে সন্তান মুয়াম্মার গাদ্দাফির পর লিবিয়ার হাল ধরবে কে? এই প্রশ্ন এখন ঘুরে ফিরে আসছে। কার হাতে অন্তবর্তী ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে?
বিদ্রোহীরা অনেক আগেই জাতীয় অন্তবর্তীকালীন পরিষদ (এনটিসি) গঠন করেছে। এই পরিষদই ক্ষমতা নেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে। কিন্তু এই পরিষদে কোনো জনপ্রতিনিধি নেই। আর এর নেতৃত্বে রয়েছেন গাদ্দাফি সরকার থেকে বের হয়ে আসা এক সময়ের মন্ত্রী-আমলাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এই ব্যক্তিদের সাধারণ জনগণ কতটা মেনে নেবে। হতে পারে গাদ্দাফির সঙ্গে সঙ্গে এই আমলাদেরও বিচার চাইতে পারে মানুষ।
অবশ্য ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক দেশ ইতোমধ্যে এনটিসিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে দীর্ঘ ৪২ বছর যে দেশটি একজন মাত্র ব্যক্তির হাতে ছিল সে দেশের পরিচালনার গুরুদায়িত্ব হঠাৎ করে এনটিসির হাতে গিয়ে পড়লে তাকে নানামুখী চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে তাতে সন্দেহ নেই।
লিবিয়ার জন্য এখন সবচেয়ে বড় সংকটের বিষয় হলো নতুন নেতাদের জন্য নিকট ভবিষ্যতে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে তা অনুমান করা এবং সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া। আর এই নতুন নেতারা কি পারবেন গত কয়েক মাস ধরে চলা গৃহযুদ্ধে ক্ষতবিক্ষত দেশটির সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে?
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১১