ত্রিপোলি: লিবীয় নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে মৃত অথবা জীবিত ধরতে বিশেষ বাহিনী গঠন করেছে বিদ্রোহীরা। এনটিসির শীর্ষ নেতারা এ বিশেষ বাহিনীর গঠনের সত্যতা স্বীকার করেছে।
এদিকে বিদ্রোহীদের গঠিত জাতীয় অর্ন্তবর্তী পরিষদ (এনটিসি) সরকার পরিচালনার জন্য লিবিয়ার শহর বেনগাজী থেকে ত্রিপোলিতে চলে আসার ঘোষণা দিয়েছে। এখন থেকে ত্রিপোলি থেকেই তারা দেশ পরিচালনা করবে। আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে আবারও লিবিয়া বর্হিবিশ্বে তেল রপ্তানি শুরু করবে বলেও জানায় বিদ্রোহীরা।
ধারনা করা হয়েছিল যে, গাদ্দাফি এবং তার সন্তান গাদ্দাফির আজিজিয়া কম্পাউন্ডে আশ্রয় নিয়ে আছেন। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার আজিজিয়া কম্পাউন্ডও বিদ্রোহীদের দখলে আসে। সেখানে গাদ্দাফি বা তার কোনো সন্তানকে না পেয়ে বিদ্রোহীরা বিশেষ বাহিনী তৈরি করেছে।
বিদ্রোহী কর্ণেল হিশাম বুহাগির বলেন, গাদ্দাফিকে খুঁজে বের করতে আপাত আমরা কিছু এলাকাকে চিহ্নিত করেছি। প্রত্যেকদিন আমরা বিশেষ বাহিনী পাঠাচ্ছি গাদ্দাফিকে খুঁজে বের করার জন্য। শুধুমাত্র বিশেষ বাহিনীই নয় অন্যান্য বাহিনীও একই কায়দায় গাদ্দাফিকে খুঁজে বেরাচ্ছে।
ত্রিপোলির বিভিন্ন অংশে এখনও গাদ্দাফির অনুগত বাহিনী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অব্যাহতভাবে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় বিদ্রোহীদের পতাকা পুড়িয়ে দিয়ে সেই আগেকার সবুজ পতাকা উড়িয়ে দিয়েছে গাদ্দাফি অনুগতরা।
রাজধানী ত্রিপোলির একজন বাসিন্দা একটি আন্তর্জাতিক গণমধ্যমকে বলেন, ‘গাদ্দাফির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিদ্রোহীদের শক্তিশালী ভূমিকার পেছনে মূল চালিকা শক্তি হলো ন্যাটোর যুদ্ধবিমান। প্রতি রাতেই রাজধানী ত্রিপোলির বিভিন্ন অংশে যুদ্ধ বিমানগুলো বোমা বর্ষণ করে। ’
এদিকে গাদ্দাফির অনুগত একটি গণমাধ্যম জানায়, ন্যাটোর বিমান গাদ্দাফির জন্মস্থান সিরাতে বোমা হামলা চালাচ্ছে। তাদের বোমা হামলায় অনেক বেসামরিক লোকজন নিহত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১১