ত্রিপোলি: আত্মগোপনে যাওয়া লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি প্রায় ধরা পড়ে গেছেন। তাকে ধরা এখন সময়ের ব্যাপার।
গাদ্দাফির প্রধান ঘাঁটি বাব আল আজিজিয়া নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর শুক্রবার এ দাবি করেছে বিদ্রোহীরা। পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সহায়তায় বিদ্রোহীদের একটি বিশেষ টিম গাদ্দাফিকে ধরতে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে।
লিবিয়ার এ নেতাকে জীবিত বা মৃত ধরতে ১৭ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে গাদ্দাফির সহযোগী কেউ তাকে ধরিয়ে দিলে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে।
এদিকে লিবিয়ার বিদ্রোহীদের গঠিত জাতীয় অন্তবর্তীকালীন পরিষদের (এটিসি) নেতারা বিভিন্ন দেশে গাদ্দাফি সরকারের জব্দ করা সম্পদ তাদের ফিরিয়ে দিতে চাপ দিচ্ছে। পশ্চিমাদের সমর্থনপ্রাপ্ত এই পরিষদ গত ছয় মাস ধরে চলা গৃহযুদ্ধে বিধ্বংস্ত দেশটি পুনর্গঠনে তাৎক্ষণিকভাবে এই অর্থের বড় প্রয়োজন বলে মনে করছে।
তবে গাদ্দাফির ৪২ বছরের স্বৈরশাসনের দোসর আফ্রিকার দেশগুলো যারা তার কাছ থেকে বিভিন্নভাবে লাভবান হয়েছে তারা এখনো গাদ্দাফিকেই সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। পশ্চিমা ও আরব দেশগুলো একে একে এনটিসিকে স্বীকৃতি দিলেও আফ্রিকান ইউনিয়ন ও ভেনিজুয়েলার মতো দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলো তাদের অবস্থানে অনড় রয়েছে।
এছাড়া, চীন, রাশিয়া ও ব্রাজিলের মতো শক্তিশালী দেশগুলো চাচ্ছে না আফ্রিকার সবচেয়ে বেশি তেলসমৃদ্ধ দেশ লিবিয়াতে ইউরোপ ও আমেরিকা আধিপত্য কায়েম করুক। উপরন্তু আফ্রিকান ইউনিয়নের অনীহার কারণে বিদেশে লিবিয়ার জব্দ করা অর্থ বিদ্রোহীদের জন্য ছাড় করাতে অনেক সময় লেগে যেতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
এনটিসি সরকারের প্রধান মাহমুদ জিব্রিল বলেছেন, ‘সময় খুব কম। ’ ন্যাটোর সদস্য দেশ তুরস্ক সফরকালে তিনি বলেন, ‘আমাদের একটি সেনাবাহিনী গঠন করতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ও জনগণের প্রয়োজন মেটাতে একটি শক্তিশালী পুলিশ বাহিনী দরকার আর সেই সঙ্গে পুঁজি ও জব্দ করা অর্থের প্রয়োজন এই মুহূর্তে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১০৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১১