ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

২৯০ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন আন্না

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১১
২৯০ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন আন্না

নয়াদিল্লি: অবেশেষে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া গান্ধীবাদী আন্না হাজারে অনশন ভাঙলেন। টানা ২৯০ ঘণ্টা পর রোববার সকাল ১০ টায় অনশন ভেঙেছেন তিনি।



রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের কাছ থেকে এক চিঠি পাওয়ার পরেই তিনি অনশন ভঙ্গের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনের পুরোধা, প্রখ্যাত সমাজকর্মী ও বর্ষীয়ান গান্ধীবাদী নেতা আন্না হাজারে। তাকে মধু ও ডাবের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান ইকরা ও শিমরান নামের দুই ছোট্ট শিশু।

অনশন ভাঙার সময় আন্না হাজারো জনতা এবং সমর্থক পরিবেষ্টিত ছিলেন। তাকে গুরুগাঁওয়ের মেদান্ত হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। অনশন ভাঙার পর সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার উৎসাহ যোগানোর জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। শুধু আন্না টুপি পরেই আপনারা আন্না হবেন না। নীতির চর্চা করে আপনারা আন্না হবেন। ’

এসময় তিনি জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, জনগণের পার্লামেন্টই সবচেয়ে ক্ষমতাশালী। নির্বাচনী সংস্কারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, সংস্কারের জন্য জনগণের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া উচিৎ। এমপিরা তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ না করলে তাদেরকে পরিত্যাগ করার অধিকার জনগণের রয়েছে।

গান্ধীবাদী এই নেতা এবং তার দল টিম আন্না গত দুই সপ্তাহ ধরে ব্যাপক সমালোচনার মুখোমুখি হচ্ছিলেন। অনশন ভাঙার আগে আন্নার সহযোগী অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লির রামলীলা ময়দানে জনগণকে দুর্নীতিবিরোধী শপথ বাক্য পাঠ করান। রোববার সন্ধ্যা ছয়টায় দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য সমর্থকদের জড়ো হওয়ার ঘোষণাও দেন কেজরিওয়াল।

দিল্লির রামলীলা ময়দানে একটি দুর্নীতিবিরোধী  লোকপাল বিল পাশের দাবিতে অনশন করছিলেন এ বর্ষীয়ান নেতা। সংসদে উত্থাপিত জন লোকপাল বিলে সরকার তার প্রস্তাবিত তিনটি  দাবি যোগ করার দাবি মেনে নেওয়ায় তিনি অনশন ভাঙেন।

আন্নার প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে একটি হলো, স্বাধীন লোকপাল গড়ে তোলার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি রাজ্যে লোকপালের মতো স্বাধীন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা।

দ্বিতীয়টি হলো, সরকারি সব বিভাগে সিটিজেন চার্টার বাধ্যতামূলক করা। এই সিটিজেন চার্টার লঙ্ঘিত হলে শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা থাকতে হবে। সরকারি যেকোনো দপ্তরেই তার কর্মচারী-কর্মকর্তাদের চাকরি সংক্রান্ত তথ্য থাকতে হবে।

তৃতীয় প্রস্তাবটি হলো, কেন্দ্রের লোকপাল বিচারকরা ছাড়া সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে এবং রাজ্য সরকারের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীতে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

গত ১২ দিনের অনশনে তিনি কিছুই খাননি। এর মধ্যেই তিনি সাড়ে ৭ কেজি ওজন হারিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।