ম্যানিলা: ফিলিপাইনে টাইফুনের আঘাতে অন্তত ১৩ জন নিহত এবং অনেকেই নিখোঁজ রয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে এবং নিখোঁজদের ভাগ্যে কি ঘটেছে সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানা যায়নি বলে জানিয়েছে দেশটির জননিরাপত্তা প্রধান।
টাইফুন ‘নানমাদল’ থেকে বাঁচতে ৬১ হাজরেরও বেশি মানুষ নিজগৃহ ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয়ে আছেন। চলতি বছরের মধ্যে এই টাইফুনটি সবচেয়ে ভয়াবহ এবং শক্তিশালী। টাইফুনটি মূলত দেশটির লুজন দ্বীপে আঘাত হানে। পরবর্তীতে দেশটির উত্তরাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।
লুজন দ্বীপের জননিরাপত্তা কর্মকর্তা বেনিতো রামোস একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে বলেন, মৃত ১৩জন মূলত মারা যায় ভূমিধসে। মৃতদের মধ্যে দুইজন শিশুও আছে। তারা উত্তরের বাগুয়াতে বসবাস করতো। শহরের উত্তরের ময়লার স্তুপের চাপায় মারা যায় তারা।
তিনি আরও বলেন, টাইফুনের পরে অনেককেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। ধারনা করা হচ্ছে যে তারা সকলেই মারা গেছে। কিন্তু তারপরেও তাদের খুঁজে বের করতে অভিযান চলছে।
রুজন দ্বীপের অবস্থা বর্ননা করেতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এই অঞ্চলটি বন্যা উপদ্রুত এবং প্রায়ই এখানে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। প্রতিবার ঝড়-বাদলের সময় এখানকার মানুষদের অন্যত্র সড়িয়ে নেওয়া হয়। ঝড় শেষ হলে আবারও তারা এসে পড়ে। শনিবার যখন নানমাদল আঘাত হানে তখন এর গতি ছিল ঘণ্টায় ২৩০ কিলোমিটার। এখন পর্যন্ত পুরো অঞ্চলে কোনো বিদ্যুৎ সরবরাহ নেই। বৈদ্যুতিক সব খুটি নষ্ট হয়ে গেছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১১