যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম বিবিসির একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে কথা বলছিলেন লি। এমন একটি অনুষ্ঠানে কথা বলার জন্য আমন্ত্রণ জানালেও অংশ নেননি মায়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের প্রধান ও স্টেট কাউন্সিলর (কার্যত প্রধানমন্ত্রী) অং সান সুকি।
ইয়াংহি লিকে আরাকানের সংঘাতপূর্ণ এলাকায় ঢুকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে দেয়নি দেশটির সরকার। তবে সেখানে নির্যাতনের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকারে লি জানান, পরিস্থিতি এতোটাই খারাপ, যা তার ধারণারও বাইরে।
জাতিসংঘের এ দূত বলেন, ‘আমি বলবো (সেখানে) মানবতাবিরোধী অপরাধ চলছে। মানবতার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অপরাধ হচ্ছে...বার্মিজ (মায়ানমারের লোকজন), দেশটির সামরিক বাহিনী, সীমান্তরক্ষী বাহিনী, পুলিশ বা অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী এই অপরাধ করছে। ’
তিনি দাবি করেন, এই নিপীড়ন বার্মিজ নিরাপত্তা বাহিনীর ‘সিস্টেমেটিক (পদ্ধতিগত)’। কিন্তু অং সান সুকির সরকারকে অবশ্যই এই অপরাধের কিছু না কিছু দায়-দায়িত্ব নিতে হবে।
লি মনে করেন, ‘দিন শেষে সেখানে বেসামরিক সরকার রাষ্ট্র চালাচ্ছে। ওই সরকারকেই এসবের উত্তর দিতে হবে। তাদেরই ভয়ানক নির্যাতনের গণঅভিযোগের জবাব দিতে হবে। তারা নিজেদের জনগণের বিরুদ্ধে যে অমানবিক অপরাধ করছে তারও জবাব দিতে হবে। ’
তবে ইয়াংহি লি’র এসব অভিযোগের বিষয়ে সুকি’র সরকারের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, এ ধরনের অভিযোগ ‘অতিরঞ্জিত’ এবং এটা ‘অভ্যন্তরীণ’ বিষয়, ‘আন্তর্জাজিতক’ নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৭
এইচএ/