ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে ওই নেতাদের নামে সোমবার (১৭ এপ্রিল) এ মামলা করেছে প্রভাবশালী তদন্ত সংস্থাটি। মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতা ও সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুকুল রায়, সৌগত রায়, সাবেক বিধায়ক মদন মিত্র, কাকলী ঘোষও।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো সন্ধ্যায় এ খবর দিয়েছে। তারা বলছে, তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার মাস পেরোনোর আগেই নারদা কাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে সিবিআই।
গত বছরের মার্চে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে তৃণমূলের কয়েকজন মন্ত্রী, বিধায়ক ও নেতার ঘুষ গ্রহণের চাঞ্চল্যকর ভিডিও ফুটেজ ফাঁস করে নয়াদিল্লভিত্তিক নারদানিউজডটকম। ‘স্টিং অপারেশন’ শীর্ষক ওই ভিডিও প্রকাশের পর তুমুল সমালোচনায় পড়ে মমতার দল। সমালোচনা ঠেকাতে মমতা বেশ ক’জন নেতাকে বহিষ্কার পর্যন্ত করেন।
এ ঘটনা প্রথমে তদন্ত করে কলকাতা পুলিশ। কিন্তু তাদের তৎপরতার সমালোচনা করে গত ১৭ মার্চ কলকাতা হাইকোর্ট এ ঘটনার তদন্তভার দেন সিবিআইকে। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে মমতার দল সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে। তবে সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখেন। তারপর নয়াদিল্লি থেকে নির্দেশনা পেয়ে সোমবার তৃণমূলের ১২ নেতা ও ঘুষ গ্রহণে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তা আহমেদ মির্জার বিরুদ্ধে মামলাটি করলো সিবিআই’র দায়িত্বপ্রাপ্ত দল।
সংবাদমাধ্যমে প্রচলিত আছে, স্টিং অপারেশনে কিছু ভিডিও প্রকাশ করা হলেও বাকি রয়েছে আরও কিছু। মামলা দায়েরের পর সেই ভিডিওগুলোও তদন্ত করবে সিবিআই। ভারতের জনগণ এখনও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য সিবিআই’র ওপর বিশ্বাস রাখে।
মমতার তৃণমূল এমনিতেই সারদা চিট ফান্ড দুর্নীতি কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত। এরমধ্যে নারদা কাণ্ডে শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে এই মামলা ক্ষমতাসীনদের বড় ধাক্কাই দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৭
এইচএ/