কোমির লেখা এক স্মারকেই এ তথ্য উঠে এসেছে। আর এ খবরটি বুধবার (১৭ মে) জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে বিধিবহির্ভূতভাবে ফোনালাপ এবং সে আলাপে মস্কোর ওপর থেকে ওয়াশিংটনসহ পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কথা বলার অভিযোগ ওঠার প্রেক্ষিতে ফেব্রুয়ারিতে পদত্যাগ করেন মাইকেল ফ্লিন। সাবেক নিরাপত্তা উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ওই অভিযোগের তদন্ত ভার বর্তে এফবিআই’র ওপর। তার পদত্যাগের একদিন পরই হোয়াইট হাউসে কোমির সঙ্গে বৈঠকে বসেন ট্রাম্প।
কোমির লেখা স্মারকের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম বলছে, সেই বৈঠকে ট্রাম্প এফবিআই পরিচালক কোমিকে বলেন, ‘আমি আশা করি আপনি বিষয়টি (তদন্ত) ছেড়ে দেবেন। ’
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের পরই এই স্মারক লিখেছিলেন কোমি। তবে এ বিষয়ে বরখাস্ত হওয়ার পর কোমির কোনো বক্তব্য মেলেনি।
এই অভিযোগ অস্বীকার করে একটি বিবৃতি দিয়েছে হোয়াইট হাউস। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রেসিডেন্ট কখনোই ফ্লিন বা অন্য কোনো তদন্তের বিষয়ে কোমি অথবা অন্য কাউকেই কিছু বলেননি। ’
তবে ট্রাম্প প্রশাসন অভিযোগ অস্বীকার করলেও বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় লেগে গেছে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে। কংগ্রেসের ‘হাউস ওভারসাইট কমিটি’র চেয়ারম্যান জ্যাসন চাফেট প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও কোমির সঙ্গে আলাপের যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত আগামী ২৪ মে উপস্থাপনের দাবি করেছেন।
এফবিআইকে সঠিকভাবে নেতৃত্ব না দিতে পারার অভিযোগে গত সপ্তাহে কোমিকে বরখাস্ত করার পর ট্রাম্পের মাথার ওপর এই অভিযোগ এলো। অভিযোগটি প্রথম এসেছে নিউইয়র্ক টাইমসে।
এর আগে অবশ্য সোমবার (১৫ মে) রাতেই ট্রাম্পের ওপর আরেকটি অভিযোগ আসে। তিনি নিজেই নাকি হোয়াইট হাউসে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্জেই লাভরভ ও রাষ্ট্রদূত সার্জেই কিসল্যাকের সঙ্গে বৈঠকে ‘অনেক গোপনীয় তথ্য’ ফাঁস করে দিয়েছেন। যদিও সে অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছে হোয়াইট হাউস।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৭
এইচএ/
** রাশিয়ার কাছে ‘স্পর্শকাতর তথ্য’ পাচার করেছেন ট্রাম্প!