ত্রিপোলি: সামি আল- সাদি নামের একজন নেতৃস্থানীয় লিবীয় মুজাহিদিন গাদ্দাফির নির্যাতনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে লন্ডন যাচ্ছেন।
তিনি বৃটেনের গোয়েন্দা সংস্থা এমআই-৬ এর বিরুদ্ধে তাকে লিবিয়াতে পাঠিয়ে গাদ্দাফির হাতে নির্যাতনের শিকার হতে বাধ্য হয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেন।
সামি গাদ্দাফি নামের ওই মুজাহিদিন লিবিয়ার সাবেক পলাতক নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির বিরোধিতা করেছিলেন।
সামি বিবিসিকে জানান, তিনি ৯/১১ হামলার এক সপ্তাহ আগে আন্তর্জাতিক মস্ত্রাসী সংগঠন আল কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে আফগানিস্তানে সাক্ষাৎ করেন। লাদেন সামিকে ইউরোপীয় অথবা আমেরিকার বিরুদ্ধে লাদেনের কিছু একটা করার পরিকল্পনার কথা তাকে বলেন। কিন্তু সামিকে লাদেন বলেন, ‘তোমার কোন কিছু করা ঠিক হবে না। ’
সামি গত মাসে লিবিয়াতে গাদ্দাফি বিরোধী যুদ্ধ চলাকালে ত্রিপোলি কারাগারে তার বন্দীদশা থেকে মুক্তি পান। সামি কারাগারে একটা নির্জন কক্ষে ছিলেন। তার কারও সঙ্গে দেখা করার অনুমতি ছিল না। উন্নœত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য তাকে তিউনিসিয়াতে নেওয়া হয়েছিল।
ত্রিপোলিতে সম্প্রতি মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) প্রকাশিত গোপন দলিলে প্রমাণ যাওয়া যায় যে, সামিকে ২০০৪ সালে চীন থেকে হংকং হয়ে লিবিয়াতে ফিরিয়ে আনার পেছনে সিআইএর হাত ছিল। তিনি আরও বলেন, তাকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছিল
তিনি বলেন, ‘আমি বিমানবন্দর থেকে নামা মাত্রই আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে হাত করা পড়ানো হয়। ’ লিবিয়াতে ফিরে যাওয়ার পর সামিকে বৈদ্যুতিক শক দেওয়া হয়, চরমভাবে পেটানো হয় এবং মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়। তিনি বলেন ‘একজন নারী, একজন পুরুষের নেতৃত্বে একটি ব্রিটিশ দল আমাকে দেখতে এসেছিল।
তারা আমার কাছে জানতে চেয়েছিল, ‘আমি নির্যাতনের শিকার হচ্ছি কিনা? কিন্তু আমাকে নির্যাতন করা হচ্ছে, এই কথা বললে আমি আŸার নির্যাতনের শিকার হতে পারি এই ভয়ে আমি তাদের কাছে তা এড়িয়ে গেছি। ’
সামি বলেন, লিবিয়ার তেলের বিষয়ে স্বার্থের কারণে আমাকে গাদ্দাফির হাতে তুলে দেয় ব্রিটেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১১