ত্রিপোলি: লিবিয়ার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ এবং বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য লিবিয়া পৌছালেন ন্যাটো প্রধানরা। প্রধানদের মধ্যে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি এই প্রথমবারের মতো লিবিয়া সফর করছেন এবং সাথে আছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।
তারা আলোচনার জন্য লিবিয়ার বিদ্রোহীদের সরকার জাতীয় অর্ন্তবর্তী পরিষদের (এনটিসি) সঙ্গে বসবেন।
লিবিয়াতে ন্যাটো প্রধানদের আসা উপলক্ষে এনটিসি প্রধান মুস্তফা আবদুল জলিল বলেন, ‘ন্যাটো প্রধানদের সফর লিবিয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সফরচলাকালীন কোনো সমস্যা হবে না বলেও তিনি জানান। ’
নেতৃবৃন্দ প্রথমে যাবেন লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে এবপর তারা যাবেন অপর শহর বেনগাজিতে। সেখানে তারা মুক্তি চত্বরে (বিদ্রোহীদের দেওয়া নাম) বক্তব্য রাখবেন।
ইতোমধ্যেই যুক্তরাজ্য জাতিসংঘের কাছে লিবিয়ার পক্ষে আবেদন জানিয়েছে। জাতিসংঘ যাতে লিবিয়াকে অনুমোদন দেয় সেব্যাপারে আলোকপাত করা হয়েছে ওই আবেদনে।
লিবিয়ার সাধারণ জনগণকে বাঁচানোর তাগিদে দেওয়া জতিসংঘের এক ঘোষণা বলে ন্যাটো বাহিনী এখনও লিবিয়াতে ব্যাপক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ত্রিপোলিসহ বিভিন্ন শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে ব্যাপক বোমাবর্ষণ করছে তারা।
এদিকে বুধবার এনটিসি প্রধান মুস্তফা জলিল আরও বেশি অস্ত্র এবং অন্যান্য সহযোগিতার জন্য বিশ্বনেতৃবৃন্দের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
জাতিসংঘ এক লিখিত পত্রে গাদ্দাফিকে তার জন্মশহর সিরতে রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষ বন্ধের আহবান জানিয়েছেন। কিন্তু লিবীয় নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি প্রয়োজনে মারা যাবেন কিন্তু বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই থামাবেন না এবং দেশ ছেড়ে যাবেন না বলেও জানান।
সিরত লিবিয়ার উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোর একটি। গাদ্দাফি অনুগতরা এখনও সিরতসহ বেশ কয়েকটি শহরের নিয়ন্ত্রন নিজেদের হাতে রেখেছে। দক্ষিণ মরুভুমি শহর সাবাহতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে গাদ্দাফি বাহিনীর তুমুল যুদ্ধ চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১১