বানি ওয়ালিদ: লিবিয়ার শহর বানি ওয়ালিদে গাদ্দাফি বাহিনীর হাতে চরম মার খাওয়ার পর পিছু হটেছে এনটিসি। বানি ওয়ালিদে গাদ্দাফি অনুগত বাহিনীর তীব্র হামলার মুখে পড়তে হয় এনটিসি বাহিনীর।
শহরটির ৯০ মাইলের ভেতর এনটিসি বাহিনী পৌঁছালে ভারি গোলা বর্ষণ এবং গুলির মুখোমুখি হয় বিদ্রোহীরা। শহরে ঢুকতে না পেরে পিছু হটেছে বিদ্রোহীরা। বানি ওয়ালিদ রাজধানী ত্রিপোলি থেকে দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত।
অন্যদিকে বিদ্রোহীরা গাদ্দাফির জন্মশহর সিরতের দখল নিতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে। কিন্তু এখানেও গাদ্দাফির অনুগতদের সঙ্গে ব্যাপক লড়াই হচ্ছে বিদ্রোহীদের।
বানি ওয়ালিদে বিদ্রোহীরা ঢোকার চেষ্টা করলে তারা স্নাইপার, মর্টার আর রকেট হামলার শিকার হয়। বিদ্রোহীরা শহরের কেন্দ্রস্থলে ঢোকার চেষ্টা চালালেও কোনো ফল হয়নি। তাদেরকে ভারি বোমা বর্ষণের মুখে সরে আসতে হয়।
বিদ্রোহীদের একজন যোদ্ধা আসাদ আল হুমুরাই একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা অনেক রকেট হামলার শিকার হয়েছি বানি ওয়ালিদে। পরবর্তীতে আমরা সেখান থেকে ফিরে এসেছি।
এদিকে লিবিয়ার অন্তর্বর্তী পরিষদকে জাতিসংঘের সদস্য পদ দিতে যুক্তরাষ্ট্র লিবিয়ার পাশে দাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তার জানিয়েছে যে, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা জলিলের সঙ্গে দেখা করবেন এবং তার সমর্থণ ব্যক্ত করবেন।
উল্লেখ্য, লিবিয়ায় কয়েক মাস আগে মাত্র বিদ্রোহীরা মাথা তুলে দাড়িয়েছে। কয়েকমাসের মধ্যেই বিদ্রোহীরা এনটিসি সরকার গঠন করে পশ্চিমাদের সহায়তায়। এই এনটিসি সরকারকে জাতিসংঘের অনুমোদন দিতে বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশ উঠে-পড়ে লেগেছে। অথচ যুগ যুগ ধরে ফিলিস্তিনের জনগণ স্বাধীনতার জন্য লড়াই চালিয়ে গেলেও তাদের জন্য এতটুকু করছে না যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের সদস্য পদ পাওয়ার প্রশ্নেও ভেটো প্রদান করে যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১১