শুক্রবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে এই সবশেষ তথ্য দেওয়া হয়। তাদেরই বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এ খবর দিচ্ছে।
পুলিশ বলছে, তারা স্বজনদের সঙ্গে এখন পর্যন্ত আলাপ করে তাদের মাধ্যমে ৩০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। কিন্তু এখনও নিখোঁজ ভবনটিতে বসবাসরত ৭০ জন। কিন্তু নিখোঁজ কেউ ভবনে থেকে থাকলেও তাদের আর শনাক্ত করা যাবে বলে মনে হচ্ছে না।
সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, ভবনটিতে উদ্ধার অভিযান চলার মধ্যে বাইরে অপেক্ষারত স্বজনরা রোনাজারি করছেন। তারা নিখোঁজদের ব্যাপারে তথ্য চাইছেন পুলিশের কাছে। সময় গড়াতে থাকায় স্বজনরাও ধরে নিচ্ছেন ভেতরে থাকা আর কেউ জীবিত না থাকতে পারে।
এদিকে, আগুনের ঘটনায় ভবনটি পরিদর্শনে গেছেন রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও ডিউক অব ক্যামব্রিজ। তারা সেখানকার বাসিন্দা ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে সহমর্মিতা জানান।
অন্যদিকে, অগ্নিকাণ্ডের গণতদন্ত করার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে। ২৭ তলা বিশিষ্ট ভবনটিতে আগুনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঘটনা যাই ঘটুক, কেন এতো দ্রুত এমনভাবে আগুন ছড়িয়ে পড়লো জনগণ তার উত্তর চায়, এবং তা পাওয়ার অধিকার তাদের রয়েছে। ’
সংবাদমাধ্যম আরও জানাচ্ছে, আগুনের ঘটনায় জনরোষ বাড়ছে। তিন শতাধিক মানুষ বৃহস্পতিবার ওই ভবন এলাকায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। এসময় তাদের তোপের মুখে পড়েন লন্ডনের মেয়র সাদিক খান। তিনি তখন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৭
এইচএ/