ইস্তাম্বুল: ২০১২ সালে সাইপ্রাসকে সভাপতি করলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে সব সম্পর্কের সমাপ্তি ঘটাবে তুরস্ক।
উপ-প্রধানমন্ত্রী বশির আতালির উদ্ধৃতি দিয়ে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা আনাতোলিয়া এ খবর জানিয়েছে।
এই ইস্যুতে তুরস্ক যদি ইইউ’র সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করে দেয় তাহলে তুরস্ক-ইইউ সম্পর্ক অন্যদিকে মোড় নেবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
তুরস্ক ২০০৫ সাল থেকে ইইউ’র সদস্য হওয়ার লক্ষ্যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ব্রিটেনের আপত্তির কারণে সদস্য পাওয়ার বিষয়টি আটকে আছে।
এদিকে, গাজায় প্রবেশের তুর্কি ত্রাণবাহী জাহাজে ইসরায়েলীদের হামলায় ৯ জন তুর্কি নিহত হওয়ার পর এই মিত্র দেশটির সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে। সর্বশেষ গত কয়েক দিন আগে ইসরায়েলী রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের পর তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের এক প্রকার সমাপ্তি ঘটেছে।
এছাড়া, এমন এক সময়ে তুরস্কের তরফ থেকে এই ঘোষণা আসল যখন ভূ-মধ্যসাগরের পূর্বাঞ্চলে উপকূলীয় গ্যাস মজুদ নিয়ে তুরস্ক এবং দক্ষিণ সাইপ্রাসের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে।
যদি শান্তি সমঝোতা সফল না হয় এবং পর্যায়ক্রমিকভাবে দক্ষিণ সাইপ্রাসকে (গ্রিক সাইপ্রাস নামেও পরিচিত) ২০১২ সালে ছয় মাস মেয়াদে ইইউ সভাপতির দায়িত্ব পায় তাহলে তুরস্ক-ইইউ সম্পর্ক নতুন সংকটের মধ্যে পড়বে।
গ্রিক সাইপ্রাসকে ২০১২ সালের জুলাই থেকে ছয় মাসের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হবে। ১৯৭৪ সালে তুরস্ক সাইপ্রাস আক্রমণ করলে অপর দিক থেকে গ্রিস সেনারা এর একটা অংশ দখল করে নেয়। এরপর থেকেই মূল সাইপ্রাস গ্রিক সাইপ্রাস এবং তুর্কি সাইপ্রাস নামে দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১১