সানা: ইয়েমেনের রাজধানী সানায় প্রেসিডেন্ট আলী আব্দুল্লাহ সালেহের অনুগত বাহিনীর গুলিতে রোববার কমপক্ষে ২৬ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া সৈন্যদের গুলিতে আরও কয়েকশ বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন বলে খবরে জানা গেছে।
৩৩ বছর ধরে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা প্রেসিডেন্ট সালেহের বিরুদ্ধে ইয়েমেনের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত বিক্ষোভের একদিন পরই রাজপথে সেনাবাহিনীর গুলিতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটলো। খবর আল-জাজিরার।
মোহাম্মদ আল ওয়াদী নামে এক সাংবাদিক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘সরকারি সৈন্যরা ছাদের ওপর থেকে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ করে সরাসরি গুলি চালায়। ’
তিনি বলেন, ‘আমি একজন বিক্ষোভকারীর আমাকে জানান, সৈন্যদের ছোড়া গুলি কারো বুকে, কারো পায়ে, কারো শরীরের বিভিন্ন অংশে বিদ্ধ হয়েছে। ’
এদিকে, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট সালেহ সমর্থক এবং সৈন্যরা তখনই গুলি চালায়, যখন গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে চেঞ্জ স্কয়ারে তাবু গেড়ে অবস্থান করা বিক্ষোভকারীরা সিটি সেন্টারের দিকে বিক্ষোভ করে এগিয়ে যাচ্ছিলেন।
তিনি আরও জানান, বিক্ষোভকারীদের লক্ষ করে এ সময় জলকামান এবং কাঁদানে গ্যাসও নিক্ষেপ করা হয়।
ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক টম ফিন জানান, ‘আমি মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ১৬ জন বিক্ষোভকারীর মরদেহ মসজিদে পড়ে থাকতে দেখেছি এবং তাদের বেশির ভাগেরই বয়স ২২ বছরের নিচে। ’
এর আগে রোববারের প্রথম দিকে রাজধানী সানার আল-হাসাবা জেলায় সরকারি সৈন্যরা মর্টারের সেল ছুড়েছে।
অপরদিকে, ইয়েমেনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মানসারি হাদি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এক সপ্তাহের মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
তিনি আরও জানান, প্রেসিডেন্ট সালেহর পক্ষে তিনি নিজেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
গত সপ্তাহ থেকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হাদি ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১১