ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ভয়াবহ পাইলট সংকটে পড়তে যাচ্ছে এশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১১
ভয়াবহ পাইলট সংকটে পড়তে যাচ্ছে এশিয়া

হংকং: এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দ্রুত বিকাশমান বিমান পরিবহন সেক্টর খুব শিগগির ভয়াবহ পাইলট সংকটের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। এই সংকটের কারণে ইতোমধ্যে অনেক কোম্পানি তাদের বিমানের ফ্লাইট কমিয়ে দিয়েছে এমনকি নতুন বিমান নামাতেও সাহসী হচ্ছে না।



সোমবার মার্কিন বিমান কোম্পানি বোয়িং এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছে।

তারা বলছে, এই অঞ্চলে চাহিদা পূরণে আগামী দুই দশকের মধ্যে অতিরিক্ত এক লাখ ৮০ হাজার পাইলট এবং প্রায় দুই লাখ ৫০ হাজার প্রকৌশলীর প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়বে চীন।

এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে বর্তমান পাইলটের সংখ্যা ৬০ হাজার এবং প্রকৌশলীর সংখ্যা মাত্র ৪৬ হাজার জন।

বোয়িংয়ের যাত্রী সেবা ইউনিটের প্রধান কাস্টমার অফিসার রোয়েই গানজারস্কি হংকংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটাই এখন বড় প্রশ্ন, মানুষ এতো বিমান কোথায় এবং কীভাবে পাবে। ’

তিনি বলেন, ‘অনেক কোম্পানি তাদের বিমান বসিয়ে রেখেছে অথবা বিমানের সংখ্যাই কমিয়ে ফেলেছে। পাইলট সংকটের কারণে অনেককে একেবারে নতুন বিমানও বসিয়ে রাখতে হচ্ছে। ’

তিনি কোন কোম্পানির নাম নির্দিষ্ট করে বলেননি। তবে এর মধ্যে ভারত, ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়া রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

গানজারস্কি জানান, পাইলট সংকট অন্য অঞ্চলেও রয়েছে। বিশ্ব পরিবহন সেক্টরও এই সংকটের মধ্যে পড়তে যাচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে এই সেক্টরে ১০ লাখেরও বেশি পাইলট এবং প্রকৌশলীর প্রয়োজন হবে। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে সংকটে পড়বে এশিয়া।

চলতি মাসের প্রথম দিকে বোয়িং বলেছিল, ২০৩০ সালের মধ্যে শুধু চীনের নতুন বিমান লাগবে ৫ হাজার। এতে তাদের খরচ হবে ৬০ হাজার কোটি ডলার। দেশটিতে উদীয়মান মধ্যবিত্ত পরিবারের ভ্রমণ ও কাজের জন্য বাইরে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ার কারণে এমনটি হচ্ছে বলে তারা বলছে।

চীনে ২০১০ সালে মোট বিমান যাত্রী হিসাব করা হয়েছিল ২৬ দশমিক ৭ কোটি জন। গত বছরের তুলনায় তা ১৫ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।

চীন ছাড়াও এই প্রবণতা সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া এবং শ্রীলংকাতেও দেখা যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।