বেনগাজি: লিবিয়ার পলাতক স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির অনুগত সেনারা আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে পড়লেও বিদ্রোহীদের জাতীয় অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের (এনটিসি) পক্ষে রোববার মন্ত্রিসভা গঠন করা সম্ভব হয়নি।
মন্ত্রীদের নাম প্রস্তাব ও স্বাধীনতা ঘোষণার আগেই অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কি না সে ব্যাপারে একমত হতে না পারায় শেষ পর্যন্ত মন্ত্রিসভা গঠনের লক্ষ্যে আয়োজিত বৈঠক ব্যর্থ হয়।
বিদ্রোহী সেনারা লিবিয়ার বেশিরভাগ অংশ নিয়ন্ত্রণ করলেও বনি ওয়ালিদ এবং গাদ্দাফির নিজ শহর সারতে থেকে পিছু হটেছে। গাদ্দাফিকে আগস্টে ক্ষমতা থেকে হটানোর পর যে রাজনৈতিক এবং সামরিক সংকট দেখা দিয়েছে তা মোকাবেলা করে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা একটু কঠিনই হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত জাতীয় নির্বাহী কমিটি অথবা মন্ত্রিসভা গত মাসে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। অন্তবর্তী পরিষদের প্রধানমন্ত্রী মাহমুদ জিব্রিল রোববার একটি নতুন কমিটির মাধ্যমে প্রতিরক্ষা এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বর্তমান মন্ত্রীসভার সদস্যরা এই প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় তা সম্ভব হয়নি।
একজন অনুবাদকের সহায়তায় জিব্রিল সাংবাদিকদের বলেন, ‘নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য এনটিসির সঙ্গে আমাদের একটি উপদেষ্টা কমিটি আছে। আমরা কয়েকটি বিষয়ে একমত হয়েছি। আরও অনেক বিষয়ে আমাদের আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ’
আলোচনার সঙ্গে সম্পর্কিত সূত্রগুলো জানায়, আলোচনার সময় জিব্রিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। স্বাধীনতা ঘোষণার আগে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রয়োজন আছে কি না সে বিষয় নিয়েও মতানৈক্য হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০ মাসের মধ্যে নতুন সংবিধান প্রণয়নসহ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে এনটিসি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১১