ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

নতুন অক্ষশক্তি গড়তে চায় তুরস্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১১
নতুন অক্ষশক্তি গড়তে চায় তুরস্ক

কায়রো: তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেত দাভুতগলু বলেছেন, ‘তুরস্ক ও মিশরে মধ্যে সবক্ষেত্রে অংশীদারিত্ব চায় আংকারা। ’ একই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষমতার একটি নতুন অক্ষ গড়তে চাচ্ছেন তারা যে মুহূর্তে এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব-প্রতিপত্তি ক্রমশ দূর্বল হয়ে আসছে।

সোমবার নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত এক সাক্ষাতকারে এমন কথা বলেছেন দাভুতগলু।

তিনি বলেন, ‘ওই অক্ষ ইসরায়েল, ইরান বা অন্য কোন দেশের বিরুদ্ধে নয়, তবে এটা হবে গণমন্ত্র এবং প্রকৃত গণতন্ত্রের অক্ষশক্তি। ’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এই অঞ্চলে দুটি বৃহৎ জাতির মধ্যে এটা হবে গণতন্ত্রের অক্ষশক্তি। এটা হবে উত্তর থেকে দক্ষিণ, কৃষ্ণসাগর থেকে সুদানে নীল উপত্যকার পাদদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত। ’

দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগীতা বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করে দেভুতগলু জানান, মিশরে আংকারার বিনিয়োগ আগামী দুই বছরের মধ্যে দেড়শ কোটি ডলার থেকে ৫০০ কোটিতে উন্নিত করা হবে। সেই সঙ্গে বর্তমান বাণিজ্য ৩৫০ কোটি ডলার থেকে বেড়ে দাঁড়াবে ৫০০ কোটি বিলিয়ন ডলার।

তিনি বলেন, ‘আঞ্চলিক ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষার লক্ষ্যে আমরা একটি খুব শক্তিশালী মিশর চাই। অনেকে মনে করে মিশর এবং তুরস্ক প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। কিন্তু না, এটা আমাদের কৌশলগত সিদ্ধান্ত। এই মুহূর্তে আমরা একটি শক্তিশালী মিশর চাই। ’

দুই দেশের মধ্যে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধির এই পরিকল্পনা কিছু দিন আগে মিশরের প্রধানমন্ত্রী এসাম শারাফও বলেছিলেন। গত সপ্তাহে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রেসেপ তাইয়েপ এরদোগান মিশর সফরকালে এই কথা বলেন শারাফ।

সেদিন মিশরে ব্যাপক আড়ম্বরের সঙ্গে এরদোগানকে অভ্যর্থনা জানানো হয়েছিল। তিউনিসিয়া ও লিবিয়াসহ আঞ্চলিক সফরের প্রথমেই তিনি মিশর যান।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য পদ অনিশ্চিত এবং ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির পর এরদোগান আরবমুখী নীতি জোরদার করার কৌশল হাতে নিয়েছেন। ইসরায়েলের বরাবরের উদ্ধত আচরণের কারণে আরব বিশ্বে জনপ্রিয়ও হয়ে উঠছেন তিনি।

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এরদোগানের আরব বিশ্বের নেতৃত্ব দেওয়ার এই আঞ্চলিক উচ্চাভিলাষ বড় জোর মিশর উপকূল পর্যন্ত পৌঁছাবে। ভেঙে পড়া অর্থনীতি এবং রাজনীতির অনিশ্চিত ভবিষ্যত এসব কারণে কায়রো হয়ত আংকারা সঙ্গে প্রতিযোগিতায় একটা দূর্বল অবস্থান নিতে পারে। কিন্তু অংশীদ্বারিত্বের ক্ষেত্রে কনিষ্ঠ সদস্য হতে চাইলে দেশটির ভেতর থেকে বাধা পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

এ বিষয়ে তুরস্কের সেন্টার ফর ইকোনমিক অ্যান্ড ফরেন পলিসি স্টাডিজের পরিচালক সিনান উলজেন বলেন, ‘এটা (কায়রো-আংকারা) কোন সহজ সম্পর্ক হবে না। আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তার খেলায় এই দুই দেশ সবসময়ই প্রতিযোগী থাকবে, যেখানে মিশর চাচ্ছে আরব বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে আর তুরস্ক চাচ্ছে তার প্রভাব বলয় বাড়াতে। ’

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।