গত মঙ্গলবার (১১ জুলাই) দেশটির পার্বত্যাঞ্চল কুনার প্রদেশে আইএস-খোরাসান’র সদরদফতরে এ হামলা চালানো হয়। একসময় আফগানিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান ও ইরানের পূর্বাঞ্চল নিয়ে খোরাসান রাজত্ব পরিচিতি ছিল।
শুক্রবার (১৫ জুলাই) এক বিবৃতিতে আবু সায়ীদের নিহত হওয়ার দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের সদরদফতর পেন্টাগনের মুখপাত্র ডানা হোয়াইট।
তিনি বিবৃতিতে জানান, সেদিন ড্রোন হামলায় আইএস-খোরাসান’র আমির আবু সায়ীদ নিহত হন। হামলার সময় তার সঙ্গে আরও সহযোগীরা ছিলেন। তাদের অনেকেও প্রাণ হারিয়েছে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে ‘আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত’ যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল জন নিকোলসন এটাকে আইএসের বিরুদ্ধে তাদের সফলতা হিসেবে দেখছেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় এ নিয়ে তৃতীয় কোনো আইএস-খোরাসান আমির প্রাণ হারালো। এর আগে দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই আমিরও মারা পড়েছিল। এই অভিযান চলতেই থাকবে। আফগানিস্তানকে আইএসের অভয়াশ্রম হতে দেওয়া হবে না।
গত বছরের জুলাইয়ে আইএসের তৎকালীন আফগান আমির হাফিজ সায়ীদ খান নিহত হয়েছিল। গত এপ্রিলেই যুক্তরাষ্ট্র-আফগানিস্তানের কমান্ডো বাহিনীর যৌথ অভিযানে নিহত হয় দায়িত্বপ্রাপ্ত আমির আবদুল হাসিব।
ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসের একের পর এক পতনের খবর আসতে থাকার মধ্যে আফগানিস্তানে তাদের আমির মারা পড়ে যাওয়ার ঘটনা জঙ্গি গোষ্ঠীটির নির্মূল হওয়ারই আভাস দিচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৭
এইচএ/