ওয়াশিংটন: এবার বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল বিশেষ করে আফ্রিকা ও আরব উপদ্বীপে ড্রোন (চালকবিহীন বিমান) হামলা সম্প্রসারিত করার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের ভাষায়, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানে সফলতার পর সন্ত্রাস দমনে ড্রোন ব্যবহারের আওতা বাড়ানোর এই উদ্যোগ।
বুধবার ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেছে, ইতিমধ্যে ইথিওপিয়ায় একটি ঘাঁটি স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।
ইথিওপিয়ার পার্শ্ববর্তী দেশ সোমালিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রবাহিনী জঙ্গিগ্রুপ আল শাবাবের বিরুদ্ধে লড়ছে। আল শাবাব সোমালিয়ার দক্ষিণাঞ্চলসহ অধিকাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে।
দৈনিকটি জানিয়েছে, ভারত মহাসাগরের সিচেলেস দ্বীপপুঞ্জে চলতি মাসে ড্রোন বহনকারী একটি ছোট জাহাজ পরীক্ষামূলক অভিযান পরিচালনার পর সেখানে কার্যক্রম পুনরায় শুরু করেছে। এই এলাকা থেকে সোমালিয়ার ওপর নজর রাখা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন ঘাঁটির এ অঘোষিত দ্রুত বিস্তার ইয়েমেন এবং সোমালিয়ায় আল কায়েদার সহযোগী জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা আশংকাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ার কারণেই ঘটছে বলে মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবি।
এছাড়া, ড্রোন হামলার কারণে পাকিস্তানে আল কায়েদার শক্ত অবস্থান দূর্বল হয়ে যাওয়ায় তাদের উৎসাহ বেড়ে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব লিয়ন প্যানেটা এবং অন্য কর্মকর্তারা মে মাসে আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার হত্যার পর আল কায়েদা গ্রুপকে নির্মূল করার পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে ড্রোন হামলা বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছেন।
জার্নালটি মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্বৃতি দিয়ে জানিয়েছে, পাকিস্তানে মার্কিন অভিযানে আল কায়েদা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। তারা এখন পূর্ব আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়ে তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করার চেষ্টা করছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১১