সানা: ইয়েমেনের রাজধানী সানাতে সরকারি বাহিনী সরকার বিরোধী প্রতিবাদকারীদের শিবিরে হামলা চালিয়েছে। হামলায় অন্তত একজন মারা গেছে এবং অনেকেই আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং চিকিৎসকদের মতে, সরকারি বাহিনী অতর্কিতে পরিবর্তন চত্বরে প্রতিবাদকারীদের ওপর গুলি বর্ষণ এবং মর্টার শেল নিক্ষেপ শুরু করে। এতে অনেকগুলো তাবু পুড়ে যায় এবং আশপাশ থেকে স্নাইপাররাও গুলি করছিলো।
সৌদি আরব থেকে চিকিৎসা শেষে তিনমাস পর ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সালেহ দেশে ফেরার পরই এই হামলার ঘটনা ঘটলো।
সানায় অবস্থানরত ডাক্তার মোহাম্মদ আল কুবাতি একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার দেখা মতে ছয় জন আহত এবং একজন নিহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তি মর্টার শেলের আঘাতে মারা গিয়েছে। ’
প্রতিবাদকারীরা গত জানুয়ারি মাস থেকেই সরকার বিরোধী বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে পরিবর্তন চত্বরে অবস্থান নিয়েছে। প্রেসিডেন্ট সালেহ’র পতনের দাবিতে তারা জড়ো হয়ে প্রতিবাদ করে।
প্রেসিডেন্ট সালেহ’র পুত্র আহমেদের নেতৃত্বধীন এলিট রিপাবলিকান গার্ড বাহিনী প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়ে আছেন। এমনকি যেসকল আদিবাসী গোষ্ঠি প্রতিবাদকারীদের সাহায্য করেছে তাদের বিরুদ্ধেও দমন-পীড়ণ চালাচ্ছে ওই বাহিনী। গত শুক্রবার পরিবর্তন চত্বরে এই বাহিনীর হামলায় অন্তত ১৩ জন বেসামরিক মানুষ মারা গিয়েছে।
যদিও প্রেসিডেন্ট সালেহ দেশে ফেরার পরপরই সকল প্রকার দমন-পীড়ন বন্ধের ঘোষণা দেন। কিন্তু ঘোষণার পরেও দমন-পীড়ণ অব্যহত আছে।
এদিকে দেশটির অনেকেই ধারণা করছেন যে, সালেহ’র দেশে ফেরা দেশটিকে ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের দিকে নিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১১