ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

বিরোধিতার খেসারত দিলেন রুশ অর্থমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১১
বিরোধিতার খেসারত দিলেন রুশ অর্থমন্ত্রী

মস্কো: পুতিনের প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতা নিয়ে আপত্তি করায় প্রেসিডেন্ট দিমিত্র মেদভেদেভের রোষে পড়েছেন অর্থমন্ত্রী অ্যালেক্সিই কুদরিন। তাকে এখনই মন্ত্রীত্ব ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।



দিমিত্রোভগ্রাদের ভোলগা সিটিতে সোমবার কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে মেদভেদেভ  প্রধানমন্ত্রী ভদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করে কুদরিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ওেয়ার কথা বলেছেন। মেদভেদেভ সোমবার যখন কুদরিনকে লক্ষ্য করে এই কথা বলেন তখন তাকে খুবই রাগত দেখাচ্ছিল।

এর আগে দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ভøাদিমির পুতিনকে ২০১২ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে লড়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মেদভেদেভ। এই প্রস্তাব সানন্দে গ্রহণও করেছেন পুতিন। নিজ দল ইউনাইটেড রাশিয়ার বাৎসরিক কংগ্রেসে গতকাল শনিবার সমর্থনও পেয়েছেন তিনি।

অর্থমন্ত্রী অ্যালেক্সিই কুদরিন মেদভেদেভের এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করার কারণেই মেদভেদেভ তাকে পদত্যাগের আহ্বান জানালেন।
 
বৈঠকে কুদরিনের দ্বিমত পোষণের বিষয়টি নিয়ে মেদভেদেভ খুব রাগত স্বরে কথা বলেন। একে তিক্ত অভিজ্ঞতা হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের মন্তব্য অশোভন। কেউ শৃঙ্খলা এবং আনুগত্য ভঙ্গ করেনি। ’

কুদরিনও ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। কুদরিনকে উদ্দেশ করে মেদভেদেভ বলেন, ‘আপনি যদি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একমত না হন তাহলে এর একটাই ব্যবস্থা, আর আপনি সেটা জানেনও, সেটা হলো পদত্যাগ। আপনি কি তা করবেন?  এখানেই তার উত্তর দেওয়া দরকার। আপনি কি একটা পদতাগপত্র লিখবেন?’

জবাবে কুদরিন বলেন, `প্রধানমন্ত্রী পুতিনের সঙ্গে পরামর্শ করে আমি আপনার প্রস্তাবের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। `

জনমত জরিপে পুতিন এবং মেদভেদেভ রাশিয়ার অন্য রাজনীতিকদের চেয়ে এগিয়ে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট মেদভেদেভ ২০০৮ সালে দায়িত্ব নেওয়ার আগে পুতিন দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন।

পরের বার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদে লড়া থেকে বিরত থাকেন পুতিন। তারপর তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন।  

কুদরিন পুতিনের একজন মিত্র। ওয়াশিংটনে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে গত রোববার এক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘মেদভেদেভ পুতিনের প্রেসিডেন্ট হওয়ার বিষয়ে যে প্রস্তাব দিয়েছেন, আমি তার বিরোধিতা করি। ’

তিনি আরও বলেন, ‘নতুন সরকারে আমি হয়ত থাকব না। তবে বিষয়টা এ রকম নয় যে, কেউ আমাকে প্রস্তাব দেয়নি। ’

কুদরিনের এই আপত্তি ও মন্তব্যে রাশিয়াতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা একপ্রকার সতর্কবার্তা পেয়েছেন। কারণ, তিনি সাম্প্রতিক বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার সময়ে রাশিয়ার অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সমর্থ হয়েছিলেন। ফলে তার প্রতি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা প্রবল।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।