জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, এরইমধ্যে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে ধারণাক্ষমতার বেশি শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে। শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় না পেয়ে রোহিঙ্গারা উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় বস্তি তৈরি করেছে।
মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিপীড়ন চলে আসছে কয়েক দশক ধরে। তারা তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। বিভিন্ন সময়ে সহিংসতার মুখে সেখান থেকে পালিয়ে এসে ৫ লাখের বেশি মানুষ বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে।
মায়ানমারে নতুন করে সেনা নির্যাতন শুরু হলে রোহিঙ্গারা দিনের পর দিন পায়ে হেঁটে ঘন জঙ্গল ও পাহাড় অতিক্রম করে বাংলাদেশে আসছে। তারা মায়ানমার সীমান্ত থেকে মাছধরা নৌকার করে সাগর পাড়ি দিয়ে টেকনাফে প্রবেশ করছে। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। তারা বাংলাদেশে আসছে ক্ষুধার্ত ও বিপর্যস্ত অবস্থায়। তারা হন্যে হয়ে আশ্রয়ের খোঁজ করছে।
নতুন করে মায়ানমারের সেনাবাহিনীর রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের আগে প্রায় ৩৪ হাজার রোহিঙ্গা কক্সবাজারের কুতুপালং ও নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু গত দুই সপ্তাহে সেখানে প্রায় ৭০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে জরুরি ভিত্তিতে আরও বেশি আশ্রয় কেন্দ্রের প্রয়োজন।
এই অবস্থায় কক্সবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৭
আরআর