বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ব্যাংকটির বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নেয় স্থানীয় ডিপার্টমেন্ট অব ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস। প্রায় ৪০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল ১৯৪১ সালে প্রতিষ্ঠিত হাবিব ব্যাংক।
পাকিস্তানের বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় এ ব্যাংকের বাংলাদেশেও রয়েছে কান্ট্রি অফিসসহ আটটি শাখা।
যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশি ব্যাংক নিয়ন্ত্রক বিভাগটি হাবিবকে ২২৫ মিলিয়ন বা ২২ কোটি ৫০ লাখ ডলার জরিমানাও করেছে। যদিও তাদের বিরুদ্ধে প্রথমে ৬২৯ মিলিয়ন বা প্রায় ৬৩ কোটি ডলার জরিমানার প্রস্তাব করা হয়েছিল।
ডিপার্টমেন্ট অব ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের কর্মকর্তারা বলছেন, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন, অর্থপাচার বা অন্য কোনো অবৈধ কার্যক্রম চলছে কিনা সে বিষয়ে খতিয়ে দেখতে ২০০৬ সালে হাবিব ব্যাংককে সতর্ক করা হয়। কিন্তু অভিযোগ আমলে নিতে তারা অবহেলা দেখায়। এরপরও কয়েক দফায় দৃষ্টি আকর্ষণ করেও কর্তৃপক্ষের সদ্যুত্তর না মেলায় এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
বিদেশি ব্যাংক নিয়ন্ত্রক বিভাগটির শীর্ষ পর্যায় বলছে, হাবিব ব্যাংক সৌদি আরবের বেসরকারি আল রাজি ব্যাংকের সঙ্গে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার লেনদেন করেছে। আর আল রাজি ব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের সঙ্গে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল কায়েদার সম্পৃক্ততা আছে। আল রাজির সঙ্গে হাবিব ব্যাংকের লেনদেনের ওই বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সন্ত্রাসের পেছনে যাচ্ছে না বা পাচার হচ্ছে না বলে কোনো মজবুত তথ্য-উপাত্ত দিতেও ব্যর্থ হয়েছে।
এ বিষয়ে ডিপার্টমেন্ট অব ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের সুপারিনটেন্ডেন্ট মারিয়া ভুলো বলেন, হাবিব ব্যাংককে বারবার তাদের স্পষ্ট দুর্বলতাটি সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হলেও তারা তা করতে ব্যর্থ হয়েছে। ... এখন তাদের লাইসেন্স জমা দিয়ে দিতেই হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৭
এইচএ/