রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বৌদ্ধদের এই শীর্ষ নেতা এমন কথা বলেন। আরেক নোবেলজয়ী অং সান সু চি’র দেশের সেনাবাহিনীর সহিংস অভিযানে রোহিঙ্গাদের ব্যাপক প্রাণহানি ও ভিটে-মাটি ছাড়তে বাধ্য হওয়ার ঘটনায় সবশেষ বিশ্বনেতা হিসেবে দালাইলামা কথা বললেন।
জাতিসংঘের সর্বশেষ প্রতিবেদন মতে, গত ২৫ আগস্ট থেকে রাখাইনে নতুন করে শুরু হওয়া সেনাবাহিনীর সহিংসতায় এখন পর্যন্ত হাজারোধিক মানুষ নিহত হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই রোহিঙ্গা। ভিটেমাটি ছেড়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে ৩ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা।
এই নিপীড়ন ও গণহত্যা প্রসঙ্গে দালাইলামা বলেন, যারা মুসলমানদের হয়রানি করছে, তাদের উচিত বুদ্ধকে স্মরণ করা। তিনি অবশ্যই ওই অসহায় মুসলিমদের সহায় হতেন। আমি এখনও তা বিশ্বাস করি। এটা সত্যিই দুঃখজনক।
এই ঘটনায় তিনি মর্মাহত বলেও উল্লেখ করেন স্বাধিকারের দাবিতে বিভিন্ন সময় উত্তাল হওয়া বৌদ্ধ-সংখ্যাগরিষ্ঠ চীনের তিব্বত অঞ্চলের এই নেতা।
বিশ্ব মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তথ্য মতে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা নাগরিক অধিকার বঞ্চিত। সেনাবাহিনীর ছায়ায় থাকা নাইপিদো প্রশাসন বরাবরই তাদের ‘বাঙালি অভিবাসী’ তকমা দিয়ে আসছে। সেই জায়গা থেকেই তাদের পরিকল্পনামাফিক বিতাড়িত করতে গণহত্যা চলাচ্ছে।
রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতায় বিতর্কিত ভূমিকার জন্য এর আগে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও কার্যত সরকারপ্রধান সু চি’র সমালোচনা করেন শান্তিতে নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই ও ডেসমন্ড টুটু। তাদের সারিতে গিয়ে এবার সু চি’র প্রশাসনের দিকে আঙ্গুল তুললেন দালাইলামাও।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৭
এইচএ/