ম্যানিলা: টাইফুন নিশাতের আঘাত হানার পর বুধবার রাজধানী ম্যানিলা এবং প্রধান উপদ্বীপ লুজনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয়েছে। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, এ ঝড়ে কমপক্ষে ১৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে এবং ৩৫ জন নিখোঁজ রয়েছে।
কর্মকর্তারা জানান, বেশিরভাগ মৃত্যুই ঘটেছে ম্যানিলার আশেপাশে। ফিলিপাইনের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি মানুষ লুজন দ্বীপে বসবাস করে।
বিবিসি জানিয়েছে, সোমবার বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়াসহ ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার বেগে ঘূর্ণিঝড় নিশাত ফিলিপাইনের লুজন দ্বীপের ওপর দিয়ে বয়ে যায়।
নিশাত এখন ১২০ কিলোমিটার বেগে দক্ষিণ চীন সাগরের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পিতবার বিকেলে অথবা শুক্রবার সকালে এটি চীনের হাইনান দ্বীপে আঘাত হানবে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার রাজধানী ম্যানিলায় ধীরে ধীরে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনস্থাপন করা হচ্ছে। তবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় মূল ভূখণ্ড লুজন দ্বীপের ১০ লাখেরও বেশি মানুষ এখন অন্ধকারে রয়েছে।
জরুরি উদ্ধারকারী দল উপড়ে পড়া গাছ, ভবনের ধ্বংসস্তুপ গুলোতে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া শুরু হয়েছে।
বেসামরিক প্রতিরক্ষা প্রধান বেনিতো রামোস জানান, উদ্ধারকারী দল ভূমিধস, বন্যা এবং ভবন ধসের কারণে ম্যানিলাতে নষ্ট হয়ে যাওয়া ৬১টি রাস্তা মেরামত এবং পরিষ্কার করছে।
ম্যানিলা ওশান পার্ক, ট্যাফট এভিনিউসহ কয়েকটি এলাকা এখনো পানির নিচে। বন্ধ হয়ে যাওয়া মার্কিন দূতাবাস এখনও খোলেনি।
ফিলিপাইনে প্রতিবছরই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। কিন্তু এটি এবছরের সবচেয়ে বড় ঝড় ছিল।
উল্লেখ্য, দু’বছর আগে ফিলিপাইনে ঘূর্ণিঝড় কেটসানার আঘাতে ৪০০ জনেরও বেশি লোক মারা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টম্বর ২৮, ২০১১